কলকাতা: আজ কৌশিকী অমাবস্যা৷ এদিন তারাপীঠে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়৷ পুজো হয় প্রায় সব কালী মন্দিরে৷ আর মা কালীর প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের আস্থা-বিশ্বাস কারও অজানা নয়৷ এক সময় তিনি বলতেন, ময়দানে ‘খেলা’ হলে মা-ই তাঁকে জেতাবেন৷ তৃণমূলের একের পর এক জয় মায়ের প্রতি তাঁর বিশ্বাস আরও দৃঢ় করেছিল৷ কখনও তারাপীঠ, কখনও কঙ্কালিতলায় মায়ের পুজো দিতে ছুটে যেতেন কেষ্ট৷ বিপদের আঁচ পেলেই মায়ের শরণ নিতেন তিনি৷ সেই অনুব্রতই এখন গরুপাচার মামলায় জেল বন্দি৷ কিন্তু, কৌশিকী অমাবস্যায় মায়ের পুজো করবেন না কেষ্ট! তা হয় নাকি? তাই শুক্রবার সকাল সকাল জেলের মধ্যেই মায়ের পুজো সারলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- CBI লুক আউট নোটিস দিতেই বিধায়ক মানিকের নিরাপত্তা তুলে নিল রাজ্য পুলিশ
সুত্রের খবর, এদিন সকালে স্নান সেরে পোশাক বদলে মায়ের পুজো করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি৷ বোলপুরের বাড়িতে থাকলে আজ নিশ্চিত ভাবেই কোনও না কোনও মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন তিনি৷ সেটা সম্ভব না হলেও, যতটা সম্ভব উপাচার মেনেই মায়ের পুজো করলেন কেষ্ট৷
আসানসোল সংশোধনাগারের মধ্যে রয়েছে একটি হনুমান মন্দির৷ তার ঠিক পাশে একটি টাইলসের উপর রয়েছে মা কালীর ছবি৷ সেই ছবিতেই ধূপ দেখিয়ে, নকুন দানা দিয়ে পুজো করেন অনুব্রত৷ মায়ের পায়ে লাল জবাও দেন তিনি৷
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ১৪ দিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন কেষ্ট৷ বুধবার তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত৷ ওই দিন বিকেলেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় আসানসোল জেলে৷ নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজতে থাকার সময়ও তিনি মা কালীর ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছিলেন৷ জানা গিয়েছে, বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসে পৌঁছনোর পর থেকেই বারবার পাঞ্জাবীর পকেট থেকে আশীর্বাদী ফুল মাথায় ঠেকাচ্ছিলেন কেষ্ট। তদন্ত প্রক্রিয়া চলার সময়ও ‘মা’-ই ছিল তাঁর আস্থা৷
মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়েও পুজোর আয়োদন করতেন অনুব্রত৷ মা কালীকে সাজাতেন সোনার গয়নায়৷ প্রতিবছর গয়নার পরিমাণ বাড়ত৷ ২০২১-এর নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেই গয়নার পরিমাণ আরও বেড়েছিল। নিজে হাতে ৫৭০ ভরির গয়না পরিয়ে পুজো দিয়েছিলেন তিনি। ভোটের আগে যজ্ঞও করতেন কেষ্ট৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
