কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন দুজনেই। একজন ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, অন্যজন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে শেষ কয়েক মাস ব্যাপক চর্চা চলছে। আপাতত তারা দুজনেই জেলবন্দি। এদিন অবশ্য ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবার তাঁদের মামলার শুনানি ছিল। জানা গিয়েছে, এই ভার্চুয়াল শুনানিতে কেঁদে ফেলেছেন অর্পিতা, অন্যদিকে পার্থ দাবি করেছেন যে তিনি মানসিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন- এখনই সঠিক বিচার হবে না, বিজেপি নেতার করা মামলার প্রেক্ষিতে দাবি এজি’র
প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ইডি নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার করেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর তাঁদের নজরে আসেন অর্পিতা এবং তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধার হয়েছিল। সেই সময় থেকেই অবশ্য দুজনেই দাবি করে আসছেন যে তারা নির্দোষ। এদিন শুনানিতে অর্পিতা আবার সেই একই দাবি করে কেঁদে ফেলেন। বলেন, তিনি রাজনীতি করেন না, করতেন না, তাও তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। কেন তিনি সেটা বুঝতে পারছেন না। এদিকে তাঁর আইনজীবীর দাবি, অর্পিতা স্ত্রীরোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন, পেটে ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু জেলে শুধু পেনকিলার ছাড়া তাঁকে কিছুই দেওয়া হচ্ছে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর আবাস! KP to set up PIDS in CM Mamata’s house” width=”853″>
এদিকে আজকের শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তিনি মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে। এমনকি তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিনই পার্থর সঙ্গে জেলে দেখা হয়েছে নিয়োগ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের। কুন্তলকে দেখতে পেয়েই পার্থর প্রশ্ন ছিল, ‘‘এই, তুমি আমাকে চেনো? তুমি আমার নামটাই নিলে?’’ কুন্তল সেই প্রশ্ন শুনে মিনমিনে গলায় তাঁর জবাব দেন৷ চাপা স্বরে কুন্তল বলেন ‘‘আলাপ নেই।’’
