কলকাতা: হাওড়ার ডাকাতিকাণ্ডে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে সুবোধ সিং ও তাঁর সঙ্গীদের নাম৷ তার মধ্যে ছিল ‘গোল্ডেন ডাকু’ সুবোধের ‘ডানহাত’ বিকাশ ঝায়ের নাম। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই ঘুরেছে খেলা৷ জানা যায়, কোনও পুরুষ নন, ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনার মূলচক্রী এক মহিলা! যিনি দলে কাছে পরিচিত ‘চাচি’ নামে। যাঁর ভাল নাম আশা মাহাতো৷ বাড়ি বিহার৷
সমস্তিপুরের সুবোধের দলকে প্রায় একা হাতে পরিচালনা করতেন ‘চাচি’। ডাকাতির ছক কষার পর দলের সদস্যদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা থেকে অস্ত্র সরবরাহ সব দায়িত্ব সামলাতেন আশা৷ তবে তিনি কোনও দিন ক্রাইম স্পটে থাকতেন না৷ তাই বিহার পুলিশের কাছেও চাচি সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য ছিল না।
বিহারের বেউড় জেলে গিয়ে প্রায়ই সুবোধের সঙ্গে দেখা করতেন চাচি৷ সেখানেই দু’জনে ডাকাতি ও খুনের ছক কষতেন। বাইরে থেকে তিনিই যাবতীয় তথ্য সুবোধকে সরবরাহ করতেন। কীভাবে সমস্তিপুরে লুঠের সোনা নিয়ে আসা হবে, কোন রুটে আনা হবে, কোন সময়ে আনা হবে, সবটাই ঠিক করতেন আশা। সুবোধের সঙ্গী বিকাশের খোঁজ পেতে তাঁর ‘শাগরেদ’ রবীন্দ্র সাহানিকে বিহার থেকে গ্রেফতার করে হাওড়ায় নিয়ে এসেছিল পুলিশ। ধৃতদের জেরা করেই চাচির নাম উঠে আসে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে ডাকাতি, খুন, তোলাবাজি, হুমকির ঘটনাতেও নাম জড়ায় গ্যাংস্টার সুবোধ সিং-এর। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল চাচি৷ তাঁকে গ্রেফতার করে হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে৷