কলকাতা: কাজে প্রচণ্ড চাপ দেওয়ার পাশাপাশি সার্ভিস এবং সেলসের টার্গেট পূরণের ডেডলাইন, তার সঙ্গে আছে ইয়ার এন্ডিং চাপ। সব মিলিয়ে অটোমোবাইল ডিলারস কর্মীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই আবহেই সম্প্রতি মারাত্মক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক কর্মী মারা যান। তাঁর ওপর বিরাট কাজের চাপ সৃষ্টি করে বলপূর্বক ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছে অটোমোবাইল ডিলারস পার্মানেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (CITU)।
আরও পড়ুন- ‘ফ্রি’র দিন শেষ! এবার ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামের জন্য খসবে টাকা! চোখ কপালে ইউজারদের
জানা গিয়েছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আগরপাড়া লেক্সাস মোটরের কর্মী সলিল দাসকে ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। তাঁকে নিয়ে ৫২ জনকে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। ওই দিন রাতেই সলীল দাসের স্টোক হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। এই ঘটনায় সলিলের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে অটোমোবাইল ডিলারস পার্মানেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (CITU)। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা নেতৃত্বের অন্যতম অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সব কর্মীদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আহ্বান জানান হয়েছিল। এরপর সলিল দাসের পরিবারকে ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। ইউনিয়নের দাবি, এই কর্মী পুঁজিবাদী লালসার শিকার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube-এর নতুন CEO ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীল! Indian-American Neal Mohan becomes YouTube new CEO” width=”560″>
অটোমোবাইল ডিলারস পার্মানেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন জানাচ্ছে, আগরপাড়ার বাসিন্দা সলিল দাসের পরিবারের সঙ্গে তারা দেখা করেছেন। ৬ বছরের মেয়ে, স্ত্রী, বাবা- মা সহ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ তারা। তাই ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি লেক্সাস মোটরের হেড অফিসে তারা বিক্ষোভ দেখাবেন। ইউনিয়নের দাবি, কাজ হারানো ৫২ জন এবং সলিল দাসের স্ত্রীকে কাজ দিতে হবে। এছাড়া কর্মীদের বকেয়া বেতন ও ইনসেন্টিভ দিতে হবে।