কলকাতা: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা৷ করোনা রুখতে চলছে লকডাউন৷ গৃহবন্দি গোটা দেশ৷ করোনার প্রভাবে লাটে উঠেছে চৈত্র সেল৷ চৈত্র সংক্রান্তি পেরিয়ে গেলেও ব্যস্ত ছাপাখানা আজ বন্ধ৷ মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখ৷ বাংলা নববর্ষ৷ কিন্তু, নতুন বছরের আনন্দ ছিনিয়ে নিয়েছে করোনা৷ নতুন বছরের হালখাতার সেই ব্যস্ততাও উধাও৷ নতুন বছরের বাংলা ক্যালেন্ডার থেকে মিষ্টির প্যাকেট, সব কিছুই ছিনিয়ে নিয়েছে করোনা৷ লকডাউনের জেরে ছাপাখানা বন্ধ থাকায় ক্যালেন্ডার তৈরি লাটে উঠেছে৷ দোকানে দোকানে হালখাতার রেওয়াজেও প্রভাব পড়েছে৷
অধিকাংশ ছাপাখানায় লকডাউনের আগে ক্যালেন্ডার তৈরির বরাত এসেছিল বটে৷ কিন্তু, মাঝ পথে বন্ধ সেই সমস্ত কাজ৷ ফলে নতুন বছরের জন্য এবার কোনও ক্যালেন্ডার তৈরি হয়নি৷ কবে দোকান খুলে হালখাতা করা হবে, করে বাজার স্বাভাবিক ভবে, ভেবে কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা৷ কেননা, বছর শুরুতে নতুন বছরের ক্যালেন্ডার ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন ব্যবসায়ীরা৷ এবার দোকান বন্ধ৷ নতুন বছর শুরুতেই মন খারাপ ব্যবসায়ীদের৷ হালখাতা প্রস্তুতি না থাকায় প্রভাব পড়েছে মিষ্টির দোকানেও৷ দোকান খোলা থাকলেও মিলছে না বরাত৷ ফলে, করোনার দাপট অর্থনীতিতে বড় ধাক্কার মুখোমুখি বাংলার বাজার৷
দিনের হিসেব থেকে তিথি-নক্ষত্রের হিসেবনিকেশের জন্য প্রতিটি বাঙালি ঘরে অন্তত দু’তিনটি ক্যালেন্ডার থাকেই৷ কিন্তু, এবার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে৷ ছাপানো ক্যালেন্ডার হয়েছে ই-ক্যালেন্ডার৷