২৩ লাখ দিয়েও মেলেনি টিকিট, ‘আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই’, শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি BJP নেতার

২৩ লাখ দিয়েও মেলেনি টিকিট, ‘আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই’, শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি BJP নেতার

কলকাতা: সোমবার কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি৷ জোড় কদমে শুরু হয়েছে পুরভোটের তৈয়ারি৷ এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল এক বিস্ফোরক চিঠি৷ শীর্ষ নেতৃত্বকে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন বিধানসভা ভোটে টিকিট না পাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি৷ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে টিকিট পেতে দলকে ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাননি৷ এই অবস্থায় আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও পথ নেই তাঁর৷ 

আরও পড়ুন- নতুন আতঙ্কের মাঝেও বঙ্গের কোভিড গ্রাফে স্বস্তি, সংক্রমণ অনেকটাই কম

একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র টিকিট ছিল ‘হট কেক’৷ বিজেপি’র প্রার্থী হতে প্রতিদিনই নিয়ম করে কেউ না কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন৷ টিকিট পেতে অনেকে টাকা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল৷ টাকা নিয়ে টিকিট বিলির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়ও৷ সেই অভিযোগই যেন সত্যি প্রমাণিত হল৷ জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি নাকি পাঁচ দফায় মোট ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন৷ তাঁকে টিকিট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল দলের এক নেত্রী৷ অভিযোগ তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতি৷ ভোটের পরেই এই অভিযোগ জানিয়ে  বিজেপি-র পটাশপুর ১ উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মানস রঞ্জন সামাই চিঠি লেখেন শীর্ষ নেতৃত্বকে।

দলীয় প্যাডে ওই চিঠি লিখেছিলেন তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ শীর্ষ নেতৃত্বকে৷ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন মানসবাবু। ওই চিঠিতে তিনি স্পষ্ট লেখেন,  ২৩ লক্ষ টাকা ফেরত না পেলে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন৷ তাঁর  মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতি।  মানসবাবুর লেখা ওই চিঠিটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। 

পটাশপুর ১ উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মানস রঞ্জন সামাই সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে নেন যে তিনিই এই চিঠি লিখেছিলেন। এবং ওই চিঠিটি তিনি পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেনকে। কিন্তু এতদিন আগে লেখা সেই চিঠি হঠাৎ করে কীভাবে প্রকাশ্যে এল, তা অবশ্য জানা যায়নি৷ মানসবাবুও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই দাবি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =