কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেদিনই বিজেপির তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে, এই বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তারা সমর্থন করেন না, বর্ধিত বেতন তারা নেবেন না। খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনটা জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদতে তাঁর এই সিদ্ধান্ত কি গৃহীত হবে? বিধানসভার আইন বা নিয়ম কিন্তু অন্য কথা বলছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁদের পরিষদীয় দলের একাংশ জানতে পেরেছে বৃদ্ধি হওয়া বেতন না নেওয়ার কোনও আইন বা নিয়ম বিধানসভায় নেই। তাই ইচ্ছা না থাকলেও বর্ধিত বেতন নিতেই হবে বিধায়কদের। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, বর্ধিত বেতন পেলে তা ফেরত দেওয়া হবে। কী ভাবে বর্ধিত বেতন ফেরত দেওয়া যায়, সে কথা জানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এখন তারা জানতে পেরেছে এমন নিয়ম নেই। আসলে বিজেপির পরিষদীয় দলের বেশির ভাগ সদস্যই প্রথম বারের বিধায়ক। তাই তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে এতটা অবগত ছিলেন না। তাই এখন বর্ধিত বেতন তাঁদের নিতেই হবে, না চাইলেও।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক-এই তিন স্তরেই বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। এর আগে বিধায়কদের বেতন ছিল মাসে ১০ হাজার টাকা। সেটাই এবার একলাফে বেড়ে হল ৫০ হাজার টাকা। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা এত দিন মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা পেতেন। এখন থেকে তাঁরা পাবেন ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়াও, রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রীরা এতদিন মাসে ১১ হাজার টাকা পেতেন। তাঁরা এবার থেকে বেতন বাবদ পাবেন ৫১ হাজার টাকা৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বেতন বৃদ্ধি করবেন না।