অনুব্রতের সম্পত্তির নাগাল পেতে ‘ভোলে বাবা’র শরণে CBI-ED!

অনুব্রতের সম্পত্তির নাগাল পেতে ‘ভোলে বাবা’র শরণে CBI-ED!

কলকাতা:  তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হদিশ পেতে ইতিমধ্যেই তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ সেই নির্দেশ মেনে  অনুব্রত সম্পত্তির নথি জমাও দিয়েছেন৷ কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, সেটা তাঁর অগাধ সম্পত্তির মাত্র এক-তৃতীয়াংশের হিসেব৷ এমতাবস্থায় গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রতের সমস্ত সম্পত্তির হদিস পেতে তাই ‘ভোলে বাবা’র শরণাপন্ন হয়েছেন সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র আধিকারিকরা! পাশাপাশি গত ১০ বছরে আয়কর দফতরের কাছে জমা দেওয়া অনুব্রতর হিসাবের সমস্ত তথ্য বিশদে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।   

 আরও পড়ুন- মিটিংয়ে স্বামীর পাশে সন্তান কোলে ‘কমরেড’ স্ত্রী! প্রচারে বিমুখ CPIM-এর ‘ভাইরাল কর্মী’

সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে তাঁর ২৬টি সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। এর মধ্যে রয়েছে বীরভূম ও পুরুলিয়ার বেশ কয়েকটি চালকল ও তেলকলের হদিশ। এই ব্যবসায় বেশ কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি৷ ওই সূত্রের দাবি, অনুব্রত যে সমস্ত সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন, তার সবটাই রয়েছে ‘ভোলে বাবা’র নামে৷ অন্যান্য সম্পত্তির বেশির ভাগটাই রয়েছে তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি ও মেয়ে সুকন্যার নামে৷ 

এদিকে এ বিষয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কই, আমি তো সিবিআইয়ের কাছে কোনও কাগজপত্র জমা দিইনি। ওরা কোথা থেকে এত সম্পত্তির খোঁজ পেল?’’ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অনুব্রতের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা৷ সিবিআই সূত্রের খবর, উল্লেখিত সম্পত্তি ছাড়াও অনুব্রতের আরও অনেক চালকল ও তেলকল রয়েছে বলে সিবিআই-এর অনুমান৷ সেই সন্দেহের বশেই বীরভূম ও সংলগ্ন সবকটি জেলায় ‘ভোলে বাবা’র নামে চিহ্নিত চালকল, তেলকল-সহ বিভিন্ন সম্পত্তির মালিকানার বিষয়টি যৌথ ভাবে খতিয়ে দেখছে সিবিআই এবং ইডি। 

এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল এক সময় রামপুরহাটের এক জন ছোট মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। সেখান থেকে তাঁর এত সম্পত্তি কী ভাবে হল, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।’’ বীরভূমের মহম্মদবাজারে ‘ক্রাশার’ দিয়ে পাথরকুচি তৈরির কারবারেও অনুব্রত প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ সিবিআই-এর৷