বাবার মৃত্যুর পর কনস্টেবলের চাকরি, সায়গলের বাড়ি-সম্পত্তি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে

বাবার মৃত্যুর পর কনস্টেবলের চাকরি, সায়গলের বাড়ি-সম্পত্তি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে

ডোমকল: গরুপাচার-কাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই৷ গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত অনেকেই হয়তো জানতেন না কে এই সায়গল৷ তবে ডোমকলের মালিথাপাড়ার ববিনের বাড়ি বললেই সকলে চিনিয়ে দেবেন৷ গ্রামের মাঝে সবুজ রংয়ের অট্টালিকা সকলেরই চেনা৷ ৬ বিঘা জমির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজপ্রাসাদ৷ সামান্য কনস্টেবলের চাকরি করে এমন প্রাসাদোপম বাড়ি! কী ভাবে সম্ভব? এই প্রশ্ন যে কারও মনে উঁকি দেয়নি তা নয়৷ কিন্তু কেউ আগ্রহ দেখাননি৷ প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ কথা নেই তাঁর৷ থাকেন না সাতে-পাঁচে৷ প্রতিবেশীরা শুধু দেখেছেন কী ভাবে স্বল্প সময়ের মধ্য ফুলে ফেঁপে উঠেছে সায়গল৷ তাঁর সম্পত্তি দেখলে সত্যিই চোখ কপালে ওঠে৷ 

আরও পড়ুন- হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ প্রদানে দাবি উঠল আবার, বিক্ষোভে STEA

বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন৷ গরুপাচার চক্রে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই৷ গরুপাচার-কাণ্ডের মূল পাণ্ডা এলামূল হকের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সায়গলের বিরুদ্ধে৷ আয়ের সঙ্গে তাঁর সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তির খোঁজও পেয়েছে সিবিআই৷ ডোমকলের মালিথাপাড়ার ওই প্রাসাদই শুধু নয়৷ বাজারপাড়া ও ধুলাউড়িতেও বাড়ি রয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষীর৷ সম্প্রতি তিনি এলাকায় বেশ কিছু জমি কিনেছেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ৷ জমির দাম নেহাত কম নয়৷ শকত প্রতি ৫-৬ লক্ষ টাকা৷ সায়গল যত পরিমাণ জমি কিনেছেন তার দাম ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা হবে৷ 

দীর্ঘ দিনের পরিচিতরা জানানে কী ভাবে চাকরি হয়েছিল তাঁর৷ তাঁদের কথায়, বাবা মারা যাওয়ার পর কনস্টেবলের চাকরি পেয়েছিলেন সায়গল৷ চাকরিতে ঢোকার পরেই জমি-বাড়ি করেন তিনি৷ কিছু দিন আগে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই৷ সেই সময় কিছু কথা কানে এসেছিল অফিসারদেরও৷ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন সায়গল৷ কিন্তু কী এমন কাজ করতেন তিনি? সে সম্পর্কে ধারণা নেই গ্রামবাসীর৷ 

বিরোধীরা একবার বলেছিল, অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন সায়গল৷ অনুব্রতর বহু ব্যক্তিগত কাজের সাক্ষীও যে তিনি, তা অনেকেই জানত৷ কানুঘুষো বোলপুরেও নাকি সম্পত্তি রয়েছে তাঁর৷ সেখানে ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে৷ তবে সে কথা প্রকাশ্যে কেউই স্বীকার করেনি৷