কলকাতা: আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ আদালত ভোট পিছনোর নির্দেশ না দিলে, ওই দিনেই হবে নির্বাচন৷ কিন্তু তার আগেই বদলে যেতে পারে রাজ্যের মুখ্যসচিব। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই জুন মাসে। ভোটকে নজরে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দ্বিবেদীর মেয়াদ বাড়াতে চাইছেন, সে কথা প্রশাসনিক মহলে কারও অজানা নয়৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার মমতার এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেবে কি না, তা নিয়েই বাড়ছে জল্পনা৷
যদি নবান্নের প্রস্তাবে দিল্লি রাজি না হয়ে থাকে, তা হলে ১ জুলাইয়ের আগেই রাজ্যের বদলে যাবে মুখ্যসচিবের মুখ। সেক্ষেত্রে পরবর্তী মুখ্যসচিব হতে পারেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা। সাধারণত স্বরাষ্ট্রসচিবই পদোন্নতি পেয়ে মুখ্যসচিব পদে যোগ দেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তেমনটাই দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গোপালিকার নামে ‘আপত্তি’ নেই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারেরও। কিন্তু দ্বিবেদীকে নিয়ে যথেষ্ট ‘আপত্তি’ রয়েছে বিজেপি শিবিরে। বিশেষত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে। মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে তিনি যে ‘অসন্তুষ্ট’, সে কথা প্রকাশ্যেৎ জানিয়েছেন শুভেন্দু।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দ্বিবেদীর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আইএএস আধিকারিদকের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ (পার্সোনেল) মন্ত্রকের হাতে। আর সেই মন্ত্রক রয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। তবে শোনা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন অমিত শাহ। যদিও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন। সূত্রের দাবি, সেই কারণেই দিল্লিতে গিয়ে শাহের সঙ্গে নাকি দ্বিবেদীকে নিয়ে আলোচনা করে এসেছেন শুভেন্দু। এখন দ্বিবেদীর মেয়াদ বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্মতি জানাবে কিনা, সেটাই দেখার৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>