কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কয়েক দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তাঁর থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার আশা করছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতে সুজয়ের ঘনিষ্ঠ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুমান, তাঁর মাধ্যমেই দুর্নীতির একাধিক নথি লোপাটের চেষ্টা করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। শুক্রবার কলকাতায় ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার, রাহুল বেরা।
ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করে স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। যদিও সুজয় বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা তাঁকে চাপ দিচ্ছেন সব অভিযোগ স্বীকার করার জন্য। এই নিয়ে মাঝে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ইডির তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বরং জানান হয়েছে, তাঁর তিনটি কোম্পানির হদিশ পেয়েছেন তারা, আর ঘনিষ্ঠদের ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও আছে। এবার এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাছ থেকে কী তথ্য উঠে আসে সেটাই দেখার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”রকেটের গতিতে উত্থান! মুদি দোকান চালানো থেকে অভিষেকের অফিসে চাকরি!” width=”853″>
সূত্রের খবর, ইডি চেষ্টা করছে সুজয়কৃষ্ণ এবং রাহুলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে। তাহলেই একাধিক অজানা তথ্য সামনে চলে আসবে বলে আশা। প্রসঙ্গত, যে অ্যাকাউন্টগুলির খোঁজ পেয়েছে ইডি তা দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে।