কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে সিবিআই। পরীক্ষায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ওই দিন রাতে সঞ্জয় ছাড়াও কি আরও কেউ ছিল?
আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছিল যে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়৷ ধৃত একা নয়, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত৷ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও ধৃতকেই দাবার বোড়ে বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর কথা কতটা যুক্তিযুক্ত? সত্যি বলছে কি ধৃত? সেই সব উত্তর খুঁজতেই পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়। তাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পলিগ্রাফ টেস্টের পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একের পর এক মিথ্যে বলেছে সঞ্জয়৷ তদন্তকারী অফিসাররা জানাচ্ছেন, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে সঞ্জয় যে বয়ান দিয়েছে, তা সঞ্জয়ের হার্টবিট দেখে ‘মিথ্যা’ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পলিগ্রাফ টেস্টের সময় অভিযুক্তের মধ্যে ‘স্ট্রেস’ ধরা পড়েছে। হার্ট বিট থেকে পালস রেট এর পরিবর্তনেই সত্য-মিথ্যা ধরা পড়ে। ধৃত একবার দাবি করে, সেমিনার রুমে ঢুকে সে কাউকে দেখতে পায়নি। পরক্ষণেই বয়ান বদল করে জানায়, ঘরে ঢুকে সে নির্যাতিতাতে মৃত অবস্থায় দেখে তিনি এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ধৃতের এই বিভ্রান্তিকর বয়ানে গ্রাফচিত্রেও অস্বাভাবিক ঘটে৷