কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। এতদিনে একাধিক বড় তথ্য সামনে এসেছে এবং গ্রেফতারিও হয়েছে এই ইস্যুতে। তবে এবার নিয়োগ সংক্রান্ত ইস্যুতে যে অভিযোগ উঠল তাতে জুড়ে গেল ওপার বাংলার নামও। নথি জাল করে এক বাংলাদেশি নাগরিক প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের সম্পর্কে সিবিআইয়ের অবস্থান জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
মূল অভিযোগ, এক ব্যক্তি ২০১২ সালে বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর নিজের বাবা-মাকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গারামপুরে বসবাস শুর করেন তিনি। মামলাকারীর দাবি, একপ্রকার জোর করেই তাঁর জমিতে বসবাস শুরু করে ওই ব্যক্তি। পরে এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান হলে ওই ব্যক্তির বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। তখনই জানা যায়, ব্যক্তি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করছেন। এই ঘটনার সঙ্গেও দুর্নীতিচক্রের যোগ থাকতে পারে বলে দাবি মামলাকারীর। এক কথায়, টাকা দিয়ে তিনিও চাকরি পেয়েছেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কি অভিষেককে ‘হেফাজতে’ নেওয়ার রাস্তায় হাঁটবে সিবিআই?” width=”853″>
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও বাকিদের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশকিছু প্রার্থী টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। আবার অনেকে টাকা দিয়েও চাকরি পাননি। সেই প্রেক্ষিতে এই বাংলাদেশি ব্যক্তিও এই মামলায় জড়িত বলে সন্দেহ। তাই শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআই অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।