কলকাতা: সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের যে বাড়ি থেকে মৃত দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মৃত অশোক শাহ এবং তার স্ত্রী রেশমি শাহের বাড়ি থেকে মাত্র সাড়ে তিনশো মিটার দূরে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই এই জোড়া খুনের ঘটনা সোমবার রাতে প্রকাশ্যে আসতেই গোড়া থেকে বিষয়টির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে এই খুনের ঘটনার কথা জানতে পেরেই আলিপুরদুয়ার থেকে মুখ্যমন্ত্রী সিপিকে ফোন করে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে তদন্ত। এমতাবস্থায় জানা গেল ভবানীপুরের মৃত গুজরাটি ওই দম্পতির ছোট মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাতেই তিনি আলিপুরদুয়ার থেকে মৃত ওই দম্পতির মেয়েকে ফোন করে কথা বলেন বলে খবর। তিনি দ্রুত এই খুনের নিষ্পত্তিসহ সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সদ্য পরিবার হারানো ওই মেয়েটিকে।
অন্যদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে সম্প্রতি নিজেদের ভবানীপুরের ফ্ল্যাটে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন গুজরাটি ওই দম্পতি। ইতিমধ্যেই ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য লোকজন খোঁজার কাজও শুরু হয়েছিল। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় যখন ওই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় তখন বাড়ির একটি দরজা বন্ধ থাকলেও অপরটি খোলা ছিল। ঘরের মধ্যে যখন তাদের মেয়ে প্রবেশ করেন, তখন তিনি দেখেন মা বাবা মৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকলেও ঘরে টিভি চলছে এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খাবার পড়ে রয়েছে। এই দেখেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান যে খুনের আগে আততায়ীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় ওই দম্পতির। অন্যদিকে মৃত ওই দম্পতির মেয়ে জানিয়েছেন সোমবার দুপুর থেকেই বাবা এবং মাকে বারবার ফোন করার পরেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শেষে সন্ধ্যা ছটা নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের ওই ফ্ল্যাটে যখন মৃত দম্পতির মেয়ে আসে তখন তিনি তার বাবা-মায়ের মৃতদেহ দেখতে পান। তার কথায়, সদর দরজা খুলে ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি এবং বেডরুমের সামনে পড়েছিলেন মৃত অশোক শাহ।
