নদীয়া: মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসার আগেই বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ নেতার বিরুদ্ধে কাঠ মানি খাওয়ার অভিযোগ তুলল তৃণমূলের সমর্থকরা। ঘটনার জেরে তপ্ত নদীয়ার কৃষ্ণনগরে পৌরসভা এলাকা৷
তৃণমূলের প্রশাসক মণ্ডলীর বিরুদ্ধে বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে কাটমানির অভিযোগ। অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। এদিন কৃষ্ণনগর পৌরসভার সামনে ২৪ টি ওয়ার্ড থেকে কমবেশি মহিলারা জড়ো হন কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে৷ সেখানে হাতে কোনরকম দলীয় পতাকা না থাকলেও মুখে তৃণমূলের স্লোগান এবং পোস্টার বানিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন৷ তাতে লেখা, ‘এইচ এফ এর গরিবের বাড়ি তৈরি করতেই সম্রাট পালকে কেন টাকা দিতে হবে পৌর প্রশাসক নরেশ দাস জবাব দাও’, ‘এইচ এফ এর বাড়ি তৈরীর জন্য জয়ন্ত সাহা কে টাকা দিতে হবে কেন নরেশ দাস জবাব দাও৷’
এরকম একাধিক পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিক্ষিপ্ত তৃণমূল কর্মীর সমর্থকরা । যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের একাংশ৷ তবে এই নিয়ে নদীয়া জেলার উত্তরের জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা কোন রকম মন্তব্য করতে চাননি । তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বক্তব্য তাদের অভিযোগের ওপর সিলমোহর পড়েছে৷ কারণ, এতদিন তাঁরা বলছিলেন বলে অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না৷ এবার একই কথা বলছেন তৃণমূলের একাংশই৷
এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের সব পুরসভায় নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য৷ স্বাভাবিকভাবেই পৌরসভা ভোটের মুখে দুর্নীতির প্রশ্নে দলের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তিতে নেতৃত্বরা৷