সাগরদিঘি: সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নেন কংগ্রেসের হয়ে জয়ী সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এই ঘটনার পর থেকেই কার্যত তোলপাড় রাজ্য। সিপিএম এবং কংগ্রেস শিবির স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে এই ঘটনায়। জানা গিয়েছে, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা বাইরন বিশ্বাসের ছবিতে আগুন জ্বালিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তবে তারা গোটা বিষয়ের জন্য দায়ী করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে।
এই আসনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। জয়ের ফলে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত হয়েছিল দুই দলের সমর্থক এবং কর্মীরা। আসলে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে যাওয়ার পর এই সাগরদিঘি বাম-কংগ্রেসকে আলাদা অক্সিজেন দিয়েছিল। তৃণমূলের শেষের শুরু যে এখান থেকেই তাও দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই জয়ের ৩ মাসের মধ্যেই ওই আসন ‘জয়’ করে নিয়েছে তৃণমূল। তবে গোটা ঘটনায় স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের রোষানলে পড়েছেন প্রদেশ সভাপতি তথা বহরমপুরের সংসদ অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, বাইরনকে ‘বিশ্বাস’ করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। কার্যত তাঁর জেদের চোটের তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল এখানে। তাই এখন যা হয়েছে তার দায়ও অধীর চৌধুরীকে নিতে হবে বলে সরব হয়েছে তারা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অভিষেককে জেরার পর এবার জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করবে সিবিআই? মিলিয়ে দেখা হবে দু’জনের বয়ান?” width=”789″>
ইতিমধ্যেই সাগরদিঘির বিভিন্ন জায়গায় বাইরনের ছবি, ব্যানার, ফ্লেক্স জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘বিশ্বাসঘাতক বাইরন’ স্লোগান তুলে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। এই নিয়ে অবশ্য আগেই মুখ খুলেছিলেন অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য ছিল, দল ভাঙানোর খেলা শুরু করেছে তৃণমূল, তাতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তারাই হবে। এক মাঘে শীত যায় না। আগামী দিনে তৃণমূল দল ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে।