কলকাতা: ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা টপকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে একটি লোহার লম্বা রড নিয়ে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল সে! চট করে শুনে মনে হবে এটা কোনও জঙ্গির কার্যকলাপ, কিন্তু তা নয়। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের এক যুবক হাফিজুল মোল্লা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তার পরিবারের তরফে দাবি, সে মানসিকভাবে সুস্থ নয়। পুলিশ গ্রেফতার করার পরে যুবক নিজেও একাধিক বার বয়ান পাল্টেছে। সব মিলিয়ে পুলিশ এবং গোয়েন্দারা এই ‘সহজ’ তথ্য মানতে রাজি নয়। তারা মনে করছে, রেইকি করার জন্যই হয়তো ওই যুবক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিল। তাহলে কি বড় কোনও হামলার ছক ছিল কোনও গোষ্ঠীর?
আরও পড়ুন- শহরের বাজারে ঢুকছে পদ্মা-রায়দিঘির ইলিশ! দাম কত জানেন?
যেভাবে এই যুবক এত সময় ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লুকিয়ে ছিল তা দেখে তাজ্জব হয়ে যাচ্ছে সকলেই। এত কঠিন নিরাপত্তা টপকে সে কী ভাবে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাল তা ভেবে পাচ্ছে না কেউই। মানসিক ভাবে অসুস্থ হলে কি কেউ এমন কাজ করতে পারে, এই প্রশ্ন সকলের মনে। আর এখান থেকে ধন্দ শুরু যে, এই হাফিজুল আসলে রেইকি করতে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। গোয়েন্দাদের একাংশের অনুমান, বড় কোনও হামলার ছক কষা হতে পারে, তার জন্যই হয়তো হাফিজুল এত বড় ঝুঁকি নিয়েছে। তাদের সন্দেহ আরও গাঢ় হচ্ছে কারণ এই হাফিজুলই নবান্নের নিরাপত্তা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল একবার। সেই সময়ও সে গ্রেফতার হয়েছিল।
তবে এখন তাকে গ্রেফতার করা হলে সে পুলিশকে জানিয়েছে, সে লালবাজার ভেবে ভুল করে পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে সে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর বলে ভুল করেছিল৷ অন্যদিকে তার পরিবার দাবি করেছে, হাফিজুল মানসিক ভাবে সুস্থ নয়, তার চিকিৎসাও চলছে। এদিকে কালীঘাটে পৌঁছনোর আগে সে ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷
