করোনা আতঙ্ক: বাতিল বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব, তুঙ্গে শঙ্কা

করোনা আতঙ্ক: বাতিল বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব, তুঙ্গে শঙ্কা

বোলপুর:  করোনা আতঙ্কের জের এবার বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে। বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বসন্ত উৎসব হবে কি না, হলে বহিরাগতরা প্রতিবারের মতো জমায়েত হতে পারবেন কি না, সেই নিয়ে তুমুল অনিশ্চয়তা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

বসন্ত উৎসবে দূষণ বিধি নিয়ে নজরদারি চালানোর বিষয়ে এ বছরের গোড়ায়েও সরব হন পরিবেশকর্মীরা। গত বছর বসন্ত উৎসবে বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শান্তিনিকেতনের পরিবেশ দূষণের কথা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জানিয়েছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। এই বছর বসন্ত উৎসব যাতে পরিবেশবান্ধব করা হয় তার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ-সহ রাজ্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠান সুভাষবাবু। তিনি দাবি করেন, গত বছর বসন্ত উৎসব পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়নি। বসন্ত উৎসবে শব্দ বিধি ভেঙে উচ্চস্বরে বড় বড় বক্স বাজানো হয়েছিল, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোলা জায়গায় এভাবে মাইক বা বক্স বাজানো যায় না। এছাড়াও গত বার আবির বাতাসে যেভাবে মিশেছিল তাতে দূষণ বেড়েছিল। প্লাস্টিক, পলিথিনের ব্যবহারও দেদার হয়েছিল। এমনকি বসন্ত উৎসবের সময় প্রচুর পর্যটক শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন জায়গায় রান্নাবান্নার আয়োজন করে থাকেন তাতেও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।

গত বছর বসন্ত উৎসবে আড়াই লক্ষেরও বেশি জনসমাগম হয়, পরিকাঠামো না থাকায়, শান্তিনিকেতন জুড়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভিড়ের চাপে বহু পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতবছর বসন্ত উৎসবে বিশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে এই বছর বসন্ত উৎসবে রাজি ছিল না বিশ্বভারতী। সেই খবর সংবাদমাধ্যমের সূত্রে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছতেই তা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পরেই বিশ্বভারতী জানায় রাজ্য সরকার প্রশাসনিক সহযোগিতা করলে রীতি মেনে নির্ধারিত দিনেই বসন্ত উৎসব করতে রাজি তারা। শুক্রবার কেন্দ্রের নয়া নির্দেশ আসার পরেই এদিনই জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। সেই বৈঠকেই নেওয়া হতে পারে সিদ্ধান্ত। তবে নবান্ন সুত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + three =