কলকাতা: আগামী কাল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার কথা ঘূর্ণাবর্ত। ৭ মে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। পরের সপ্তাহের শুরুর দিকে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগনোর কথা। তার আগেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হল। আগামী সোমবার পর্যন্ত তুমুল ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে দ্বীপপুঞ্জে। এদিকে বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন শেষ হচ্ছে না।
নিম্নচাপ ঘনীভূত না হওয়ার আগে পর্যন্ত আদতে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কিনা বা হলে কোন দিকে তার অভিমুখ হবে সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আবহাওয়া দফতর প্রতিটা বিষয়ে নজর রাখছে। তবে এই মুহূর্তে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই নতুন করে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা গিয়েছেন তাদের অতি দ্রুত ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কারণ সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করে দিয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ফুঁসছে সাগর, কবে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’? Know about Cyclone Mokha, its development” width=”853″>
তাহলে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কেমন থাকবে আগামী ক’দিন? হাওয়া মহলের দাবি, পরবর্তী কয়েক দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে বিভিন্ন জেলায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে বৃষ্টি তুলনায় কম হবে। পশ্চিমের ও উপকূলের জেলাগুলি ছাড়া আর কোথাও আগামী বুধবার পর্যন্ত বর্ষণের সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করা হচ্ছে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার ওপর। তা হলে তার নাম হবে ‘মোখা’।