নাম ছিল টিকাকাণ্ডের দেবাঞ্জনের, রবীন্দ্র মূর্তি থেকে সেই ফলক ভাঙা হল

নাম ছিল টিকাকাণ্ডের দেবাঞ্জনের, রবীন্দ্র মূর্তি থেকে সেই ফলক ভাঙা হল

কলকাতা: নকল টিকাকরণ কাণ্ডে জড়িত দেবাঞ্জন দেবের নাম ছিল তালতলার রবীন্দ্র মূর্তির ফলকে। সেই ফলক থেকে তার নাম তুলে ফেলা হল। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা পুরসভার সদস্য অতীন ঘোষ। তারপরে সন্ধ্যের মধ্যেই সেই ফলক তুলে ফেলা হল। যদিও এই ঘটনায় বিজেপি দাবি করছে যে রাজ্যের সরকার প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই মূর্তির ফলকের মধ্যে কলকাতা পুরসভার একাধিক সদস্যদের সঙ্গে নাম ছিল জাল ভ্যাকসিন ঘটনার মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেবের। সেই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। যে ফলক দেখা গিয়েছে তাতে রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের নাম, অতীন ঘোষের নাম, তাপস রায়ের নাম। এই ইস্যু নিয়ে আজ অতীন ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে সাফাই দিয়ে বললেন, যে ফলক বসানো হয়েছিল তা কলকাতা পুরসভা বসায়নি। সেই ফলক বসানোর সময় কলকাতা পুরসভার কোন সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিল না। পুরসভার অনুমতি না থাকায় ওই মূর্তি স্থাপন নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল সেই কারণে কোনো সদস্য সেখানে যায়নি। তিনি আরো বললেন, ভ্যাকসিন কাণ্ডের দেবাঞ্জন দেব প্রথম থেকেই কলকাতা পুরসভার সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন এবং বারংবার অজুহাত দেখিয়ে অনেকের সঙ্গে ছবি তোলেন। সেই ছবি দেখিয়ে তিনি নিজের কাজ হাসিলের চেষ্টা করে গিয়েছেন। এই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই তালতলায় রবীন্দ্রমূর্তির ওই ফলক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- লাগবে না গ্যারান্টার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা, অনুমোদন মন্ত্রিসভায়

এদিকে, অতীন ঘোষ আজ আরও জানিয়েছেন যে,  যারা নকল টিকা কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন তাদের শারীরিক পরীক্ষা চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। পরবর্তী ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিয়ে তাদের টিকাকরণ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি স্পষ্ট করেন। তবে এর আগে ‘শিক্ষিত’দের অপর কার্যত দোষ ছাপিয়েছিলেন অতীন ঘোষ। বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই এমনকী যাঁদের শিক্ষা অতি নগন্য, তাঁরাও জানেন ভ্যাকসিন নিতে গেলে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়৷ এর জন্য প্রয়োজন আধারকার্ড, প্যান কার্ড কিংবা ভোটার আইডি কার্ড৷ পরিচয় পত্র দিতে আগে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়৷ রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে মেসেজ আসে৷ কসবায় যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরাও সকলে শিক্ষিত৷ অথচ এই শিক্ষিত মানুষরা টিকা নেওয়ার পর যখন দীর্ঘদিন মেসেজ বা সার্টিফিকেট পেলেন না, তখন চুপ করে থাকলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 1 =