রেড রোডে মিনিটের সাক্ষাৎ,ঔপচারিক নমস্কার, বাক্যবিনিময়টুকুও করলেন না মমতা-ধনকড়

রেড রোডে মিনিটের সাক্ষাৎ,ঔপচারিক নমস্কার, বাক্যবিনিময়টুকুও করলেন না মমতা-ধনকড়

কলকাতা: একাধিক ইস্যু নিয়ে রয়েছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত৷ গতকাল বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেছিলেন জগদীপ ধনকড়৷ সেই রেশ গড়াল রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে৷ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে বাক্য বিনিময়টুকুও করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সৌজন্য দেখালেও তাঁর আচরণে ধরা পড়ল না আন্তরিকতা৷ কাঠিন্য বজায় রেখে চললেন তিনি৷ এমনকী রাজ্যপাল তাঁর কাছে না আসা পর্যন্ত চেয়ার ছেড়েও উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ একবার দেখা গেল মুখ বাড়িয়ে কিছু যেন বলছেন রাজ্যপাল৷ কিন্তু আগাগোড়াই মুখ ফিরিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অতঃপর শুধুমাত্র নমস্কার বিনিময়ের মধ্যে সীমিত থাকলেন তাঁরা৷

আরও পড়ুন- ঝঞ্ঝা কাটিয়ে বঙ্গে ফিরবে কি শীত? যা জানাল হাওয়া অফিস

 প্রোটোকল মেনেই বুধবার সকালে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তার আগে মঙ্গলবার বিধানসভা দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষের সামনেই রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি৷ নজিরবিহীন ভাবে অম্বেকরের মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই।’’ গতকালের এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততাকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ যার প্রভাব পড়ল রেড রোডে৷ 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে রাজ্যপাল হয়ে আসেন জগদীপ ধনকড়৷ এর পর থেকেই শুরু হয় রাজ্য-রাজ্যপাল তরজা৷ বিভিন্ন ইস্যুতে  নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন তিনি৷ নানা সময়ে প্রশাসনিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন। রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলাদের। সুযোগ পেলেই নিশানা করেছেন শাসকদলকে। অন্যদিকে, পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে এসেছে শাসকদলের দিক থেকেও৷  রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে ‘বিজেপি-র আজ্ঞাবহ দাস’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে৷ সব কিছুর পরেও উভয়ের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় দেখেছে বাংলা৷ তবে গতকালের ঘটনার পর রেড রোডে যা ঘটল তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত নয়৷ দুই প্রধানের শরীরি ভাষায় ফুটে উঠল গতকালের অভিঘাত৷ নিয়ম মেনে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন বটে, কিন্তু দু’জনের মধ্যে ছিল অলঙ্ঘনীয় দূরত্ব৷ 
 

এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন কি মুখ্যমন্ত্রী? তা অবশ্য জানা যায়নি৷ কারণ উভয়ের মুখই ছিল মাস্কে ঢাকা৷ রাজ্যপাল সাক্ষাৎ সেরে নিজের আসনে ফিরতেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে পড়েন মখ্যমন্ত্রী৷ 


 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =