কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে প্রতিনিয়িত একাধিক তথ্য সামনে উঠে আসছে। একদিকে ইডি এবং অন্যদিকে সিবিআই নয়া তথ্য দিচ্ছে। যদিও আদালতের প্রশ্নের মুখেও তাদের পড়তে হচ্ছে তাও মোটামুটি এখনও পর্যন্ত যে যে বিষয় সামনে এসেছে তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট যে এই দুর্নীতির শিকড় আরও গভীরে আছে। সম্প্রতি ইডি আবার বিস্ফোরক এক দাবি করে ওএমআর সিট সংক্রান্ত বিষয়ে। তাদের দাবি, ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি। যার কাণ্ডারী মানিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষ।
আরও পড়ুন- এখনই সঠিক বিচার হবে না, বিজেপি নেতার করা মামলার প্রেক্ষিতে দাবি এজি’র
বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানে ইডি দাবি করেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারি এবং হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সাহায্যে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর সিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চালানো হত দুর্নীতি। গোয়েন্দার সংস্থার বক্তব্য, উত্তরপত্রে নির্দিষ্ট দু’টি প্রশ্নের জন্য শূন্যস্থান পূরণ করার নির্দেশ থাকত। বাকি উত্তরপত্র ফাঁকা। ওই দু’টি প্রশ্নের উত্তর দেখেই চাকরি দেওয়া হত অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে এইভাবেই নিয়োগ হয়েছিল বলে অনুমান করছে ইডি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণে তোলপাড় রাজ্য! Justice Gangopadhyay on CBI investigation” width=”835″>
জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষকে জেরা করে আরও তথ্য মিলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন যে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। আবার মানিক ভট্টাচার্যও বলেছেন তাঁর না আছে দুটি পাসপোর্ট, না আছে লন্ডনে বাড়ি। যদি থেকে থাকে তাহলে যেন তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়, এমনও দাবি তাঁর।