কলকাতা: নিয়োগ কাণ্ডের কুন্তল ঘোষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে উঠে এল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা নিয়োগ কাণ্ডে অন্য ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটি প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে কুন্তলের আইনজীবীর তোলা যাবতীয় অভিযোগের উত্তর দিতে গিয়ে ইডির আইনজীবী প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। এক্ষেত্রে তিনি মিলিয়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটির সঙ্গে কুন্তলের চিঠির বিষয়।
ইডির আইনজীবী বলেন, জেল কোড না মেনে কুন্তল চিঠি লেখার এক ঘন্টার মধ্যেই তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল হেস্টিংস থানায় এবং পরে সেটি পেশ করা হয় নিম্ন আদালতে। ঠিক যেমন জেল কোড না মেনে জেল সুপার পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে আঙুলে আংটি পড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্তদের জেলের মধ্যে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করতে গিয়েই তিনি এমনটা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, তদন্ত প্রক্রিয়াকে স্লথ করতেই কুন্তল ইচ্ছাকৃতভাবে ওই চিঠি লিখেছিলেন। আইনের চোখে ওই চিঠির এবং তার প্রেক্ষিতে তদন্তের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেও দাবি করেছেন ইডির আইনজীবী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নেই টাকা, মুখ ফেরাল অ্যাম্বুলেন্স, শিশুর দেহ ব্যাগে ভরে বাড়ির পথে বাবা” width=”853″>
এদিকে কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে পুলিশ কেন তদন্ত করতে পারবে না তা নিয়ে কুন্তল নিজেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি এবং তা ফের কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, আজই এই মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি এবং সিবিআই। আপাতত রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এই সপ্তাহেই রায়দান হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।