কলকাতা: টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর দু’মাসের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে শুক্রবার। কিন্তু কিছুদিন আগেই নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে বহু ওএমআর সিট উদ্ধার হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই পরীক্ষা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীদের সতর্ক করে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- টেটের ফল প্রকাশ: প্রথম দশে ১৭৭ জন, শীর্ষে ইনা সিংহ
শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন, এবারের টেটের ওএমআর সিট পর্ষদের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর কাছেও রয়েছে। এবার সেই পরীক্ষার্থী যদি কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রকে সেই সিট দিয়ে থাকে তাহলে তার দায়িত্ব পর্ষদ বা রাজ্য সরকারের নয়। এই কাজ করে থাকলে সেই পরীক্ষার্থী দালাল এবং দুষ্টচক্রের মতো সমান দোষী। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সতর্কবার্তা, কেউ দালালের ফাঁদে পা দেবেন না। পরীক্ষার্থীকে যদি আস্থা রাখতে হয় তাহলে নিজের যোগ্যতা, শ্রম এবং মেধার ওপর আস্থা রাখতে হবে। আর পর্ষদের নিরপেক্ষতার ওপর ভরসা করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি উপমা দিয়ে বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছিল পর্ষদ। আর লখিন্দরের বাসরঘরের মতো ত্রুটি সামলে পরীক্ষা নিয়েছে তারা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”১৯১১ জনের চাকরি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট! HC cancels job of 1,911 Group D employees” width=”853″>
শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল৷ তিনি জানান, টেট পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রার্থী ইনা সিংহ৷ ১৫০ নম্বরের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৩৩৷ এবার টেটে ব়্যাঙ্ক করা প্রথম পাঁচ জনই হলেন মহিলা৷ টেটে দ্বিতীয় হয়েছেন চার জন। তাঁরা সকলেই ১৫০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১৩২। এই চার কৃতী হলেন হুগলির মৌনিসা কুণ্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী ও দীপিকা রায় এবং পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার৷ গৌতম পাল জানিয়েছেন, টেটে তৃতীয় হয়েছেন চার জন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ১৩১৷ তাঁরা হলেন, মেহেদি হাসান, বিকাশ ভক্ত, মনামি অধিকারী এবং প্রহ্লাদ মণ্ডল। মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন পাশ করেছে এই পরীক্ষায়।
