কলকাতা: তৃণমূল নেতানেত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ এর পরেই বিরোধী খোঁচা, ভয় পেয়েছেন তৃণমূল নেতারা৷ আজ, শনিবার সংবাদিকদের সামনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, জেলে যেতে তাঁরা ভয় পান না৷ ভয় সম্মান নিয়ে টানাটানির৷ তাঁর কথায়, ন্যায় বিচারের জন্য আদালতেই তো যাব৷ না হলে যাব কোথায়? একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি তো বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে যাব না, যেমন সিপিএম করেছিল ‘লালা বাংলা ছেড়ে পালা’।’’
আরও পড়ুন- ঋণের আড়ালে গরুপাচারের টাকা? এবার CBI ব়্যাডারে অনুব্রত-কন্যার কোম্পানি
প্রসঙ্গত, গত সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ফুলে ফেঁপে উঠেছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি৷ কী ভাবে নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি এই শ্রীবৃদ্ধি ঘটল, তা খতিয়ে দেখুক এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি৷ তিনি আদালতের সামনে ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর একটি তালিকা-সহ তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়ে বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এই নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই মামলায় ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দেয় আদালত৷
আইনজীবী শামিল আহমেদ এদিন আদালতে বলেন, ২০১১ সালে হলফনামায় রাজ্যের এই নেতা-মন্ত্রীরা যে আয় দেখিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে সেই আয় প্রায় এক হাজার গুণ বেড়ে যায়৷ ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তাঁদের আয় কী ভাবে এতটা বাড়ল তা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে৷ এই তালিকায় রয়েছেন প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যপাধ্যায়, সাধন পান্ডে, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা এবং অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা৷ পাশাপাশি রয়েছে অমিত মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অর্জুন সিং, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, জাভেদ আহমেদ খান, অমিত কুমার মিত্র, আব্দুক রেজ্জাক মোল্লার নামও৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
