কলকাতা: সিবিআই তাদের চার্জশিটে এক সময়ে দাবি করেছিল যে, বিএসএফের সাহায্যে গরু পাচার হত। সম্প্রতি ইডিও তাদের চার্জশিটে দাবি করছে, বিএসএফের একাংশের মদতেই বাংলাদেশে পাচার করা হত গরু। অনুব্রত মণ্ডল, আবদুল লতিফ ও এনামূল হক মূলত এই পাচারের মাথা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই দাবির পর সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে। কারণ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিএসএফ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে।
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই গরু পাচার ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, গরুপাচার হয়ে থাকলে সেই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। তাঁর কথায়, যেখান দিয়ে গরু আসছে সেগুলি সব বিজেপি শাসিত রাজ্য। উত্তরপ্রদেশ, তার আগে বিহারও ছিল। এরপর সীমান্ত পার করে যাচ্ছে, আর সেখানে আছে বিএসএফ, যা কেন্দ্রীয় সরকারের। ফিরহাদ বলেন, এতদিন ধরে তারা যে কথা বলছিলেন আজ কেন্দ্রেরই এক তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের চার্জশিটে তা লিখেছে। এখানেই না থেমে বামফ্রন্ট আমলকে টেনে আনেন তিনি। দাবি করেন, গরু পাচার বহু বছর ধরে হচ্ছে, বামফ্রন্টের আমল থেকে। ফিরহাদ প্রশ্ন তোলেন, ২০১১ সালের পরের সময়ের তদন্ত হচ্ছে, অথচ তার আগের তদন্ত হচ্ছে না, কেন?
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সিবিআই-য়ের ম্যারাথন তল্লাশি! একই দিনে ৭ জায়গায় অভিযান! CBI raids 7 places in Bengal recruitment scam” width=”789″>
তৃণমূলের মতো কংগ্রেস এবং সিপিএমও বিএসএফ ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছে। তবে তাদের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও আছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, গো-বলয় থেকে গরু আসছে, রাজ্যে ঢুকছে। সবাই দেখতে পাচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। যোগসাজশে সব চলছে। তিনি এও দাবি করে বলেন, রাজনাথ সিং গৃহমন্ত্রী থাকাকালীন সব থেকে বেশি গরু পাচার হয়েছিল, কিন্তু মমতা সেই নিয়ে কোনও কথা বলেন না। আবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, বিএসএফের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছে, পদক্ষেপ হয়নি। পুরোটাই একটা সম্মিলিত অপরাধ।