পুজোয় বাঙালিকে ইলিশের স্বাদ দিতে ২০০০ মেট্রিক টন মাছের ‘রিকোয়েস্ট’ গেল বাংলাদেশে

পুজোয় বাঙালিকে ইলিশের স্বাদ দিতে ২০০০ মেট্রিক টন মাছের ‘রিকোয়েস্ট’ গেল বাংলাদেশে

কলকাতা: চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ৷ মা আসতে বাকি আর মাত্র ২৬ দিন৷ আর পুজো মানেই বাঙালির ভুড়িভোজ৷ অষ্টমীর দিন একেবারে নিরামিষ! তবে সপ্তমী কিম্বা নবমীতে পাতে কষা মাংস কিম্বা ইলিশ পড়বে না, তা আবার হয় নাকি! প্রাণের উৎসবে সব কিছুই হতে হবে পারফেক্ট৷ তাই যেমন ‘প্যান্ডেল হপিং’ থাকবে, তেমনই থাকবে ‘ফুড প্ল্যানিং’৷ আজ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে বাঙালির পাতে যাতে ইলিশের কমতি না হয়, সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ 

আরও পড়ুন- দক্ষিণী ‘তারকা’ হতে চেয়েছিলেন রাজু! ‘লাজুক’ ছেলেটার এমন কীর্তি! হতবাক প্রতিবেশীরা

বাংলাদেশের কাছে ২০০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুরোধ করেছেন রাজ্যের ইলিশ আমদানীকারীরা৷ ‘ফিশ ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তার মধ্যে মাত্র ১২০০ মেট্রিক টন রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। যার দরুণ ৪৫ দিনের মাথায় বাংলাদেশ থেকে ২০০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।  

২০১২ সালে ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল শেখ হাসিনা সরকার৷ ‘ফিশ ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এর সেক্রেটারি এসএ মাসুদ জানান,  তাঁরা বাংলাদেশ সরকারকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন৷ তবে এখনও কোনও জবাব আসেনি। আশা করা হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর আসবে। দুর্গাপুজোর আগেই বাংলার বাজারে ঢুকে যাবে বাংলাদেশের ইলিশ৷ 

এদিকে, অনেকেই মনে করেছিলেন, হাসিনার সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানাবে দিল্লি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিতভাবে ইলিশের প্রসঙ্গ তুলতেন। কিন্তু এ যাত্রায় তা আর হচ্ছে না। তাই শারদোৎসবে বঙ্গবাসীকে পদ্মার রুপোলি ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে বলেই অনেকের আশঙ্কা৷