নৌকায় থেকে টেনে সোজা জঙ্গলে, বাঘের আক্রমণে ফের মৃত্যু মৎস্যজীবীর

নৌকায় থেকে টেনে সোজা জঙ্গলে, বাঘের আক্রমণে ফের মৃত্যু মৎস্যজীবীর

সুন্দরবন: পেটের টানে জীবন হাতে নিয়েই মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। মাছ-কাঁকড়া যা মেলে তা বেঁচেই চলে সংসার। তবে গভীর জঙ্গলে তাঁদের পায়ে পায়ে চলে বিপদ। সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া নদীর খাড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখ পড়ে প্রাণ হারালেন এক মৎস্যজীবী। বছর ষাটের ওই মৎস্যজীবীর নাম কালিপদ সর্দার৷ বাড়ি গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত সুন্দরবন উপকূল থানার ছোট মোল্লাখালি গ্রামের কালিদাসপুরে৷ 

আরও পড়ুন- কয়লা পাচার-মামলায় কবে হাজির হতে পারবেন, অভিষেক-পত্নী রুজিরার কাছে জানতে চাইল ED

প্রশাসনসূত্রে খবর, সুন্দরবনের নদী খাঁড়িতে মাছ ধরতে যে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদেরষ কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে বহু মানুষ সেখানে ঢুকে পড়ে৷ সেখান থেকে মাছ-কাঁকড়া ধরেই তাঁদের সংসার চলে৷ সেভাবেই রবিবার রাতেও ঢুকে পড়েছিল একদল মৎস্যজীবী৷ কাঁকড়া ধরার জন্য যখন তাঁরা জঙ্গলে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন সেই সময়েই ঘটে বাঘের আক্রমণ৷ পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কালিপদকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় ডোরাকাটা৷ সঙ্গীরা কোনও ভাবে তাঁকে উদ্ধার করে আনলেও, ওই মৎস্যজীবীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ 

বনদফতর সূত্রে খবর, মৎস্যজীবীদের ওই দলের কাছে মাছ ধরার কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না৷ তার উপর সুন্দরবনে এখন মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে৷ সেই সতর্কতা উপেক্ষা করে জঙ্গলে ঢোকায় এই বিপত্তি৷ 

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে হামেশাই মৎস্যজীবীদের মৃত্যুর খবর আসে৷ দিন কয়েক আগেই সন্ন্যাসী মণ্ডল নামে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যুর খবর এসেছিল৷