বোলপুর: গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ না মিললেও, তাঁর একাধিক ব্যবসা ও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যাঁর অধিকাংশই রয়েছে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে। শুক্রবার সকালে বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দেন সিবিআই অধিকারিকরা। যে মিলের মালিকানা রয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা ও স্ত্রীর নামে। এদিন সিবিআই অফিসাররা গিয়ে দেখেন মিলের গেটে তালা। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে ঢোকে সিবিআই। চালকলের ভিতরে ঢুকেই অফিসাররা হতবাক। সেখানে সারি দিয়ে সাজানো দামি দামি। কালো র-এর ঝকঝকে সেই সব গাড়িতে সাঁটানো রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার। রয়েছে পাইলট কারও। কে এই সব দামি গাড়ির মালিক? শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন- পার্থ এলেন পুলিশের এসি গাড়ি চড়ে! প্রিজন ভ্যানে অর্পিতা, এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? তুঙ্গে বিতর্ক
শুক্রবার সকালে ভোলে ব্যোম রাইসমিলে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। যদিও সেখানে গিয়েই তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রথমে জানান, তাঁদের কাছে গেটের চাবি নেই! প্রায় ৪০ মিনিট ধরে নানা টালবাহানার পর তাঁরাই তালা খোলেন। চালকলের ভিতরে ঢুকতেই সিবিআই আধিকারিকদের চোখ আটকায় একটি শেডে। সেখানে সার দিয়ে দাঁড় করানো ছিল একের পর এক ঝকঝকে এসইউভি গাড়ি। প্রত্যেকটিরই রং কালো। সবেচেই সাঁটানো রাজ্য সরকারের স্টিকার। ওই গাড়িগুলির মালিক কে? শুরু হয়েছে তদন্ত। পাশাপাশি, নিরাপত্তা রক্ষীরা কেন ৪০ মিনিট ধরে গেট আটকে রাখলেন, তাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে এই রাইস মিলটি বন্ধই রয়েছে। অথচ ভিতরে এত কর্মী কী করছিলেন? সেই প্রশ্নও উঠেছে। ২০১৩ সালে ৪৫ বিঘা জমির উপর তৈরি এই চালকলটি আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে কেনেন অনুব্রত।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>