কলকাতা: গত শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণ হয় কাঁথির ভূপতিনগরে। শনিবার ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরেই ছিল তৃণমূল নেতার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। তাই এই ঘটনায় আরও বেশি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ফরেনসিক দল আসেনি নমুনা সংগ্রহে। তবে মঙ্গলবার তাদের দেখা মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান, মাটির নীচে পুঁতে রাখা বিস্ফোরকের কারণেই এই ঘটনা। ইতিমধ্যেই আবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণ-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন- ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ, উত্তাল মেডিক্যাল, হাইকোর্টে গেলেন রোগীর আত্মীয়
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের তরফে প্রাথমিকভাবে জানান হয়েছে, বিস্ফোরণস্থলে রয়েছে ২ টি গর্ত। তার মধ্যে একটি গর্ত আকারে অনেকটাই বড়। তদন্তকারীদের অনুমান ওই গর্তেই কোনও পাত্রে পোঁতা ছিল বিস্ফোরক। অসাবধানতাবশত সেই বিস্ফোরক থেকেই বিস্ফোরণ হয় ওইখানে। গর্ত থেকে বিস্ফোরকের নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও তাদের এই দেরি করে আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কেন তারা দেরি করে এলেন, কেউ কি দেরি করে আসার নির্দেশ দিয়েছিল, এইসব প্রশ্ন এখন ঘুরছে ইতিউতি। এদিকে জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।
অন্যদিকে আবার এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। কিন্তু বিস্ফোরণের ৭২ ঘণ্টা পরেও এনআইএ তদন্তভার গ্রহণ করেনি৷