শিলিগুড়ি: কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ রাজভন অভিযান করবে তৃণমূল৷ কিন্তু, কলকাতাতেই নেই রাজ্যপাল৷ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন তিনি৷ সিকিমের মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তর৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দার্জিলিঙ, শিলিগুড়ি, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি। ফুঁসছে তিস্তার জল৷ নদী লাগোয়া বসতি এখন জলের নীচে৷ মাথার উপর ছাদ হারিয়ে দিশেহারা তাঁরা৷ এমতাবস্থায় বন্যা দুর্গতদের দেখতে দিল্লি থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গ সফরে চলে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিন বাগডোগড়া বিমানবন্দরে নামার পরই বন্যা কবলিত অঞ্চল পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল বোস৷ আটমাইলের বিপর্যস্ত এলাকাগুলি নিজে পরিদর্শন করে দেখেন। দুর্গতদের জন্য মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল। সকলের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। রংধামালি ক্যাম্পে পৌঁছে সেখানে আশ্রিত বন্যা দুর্গতদের সঙ্গেও কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য়পালকে সামনে পেয়ে নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানান ভিটেমাটি হারা মানুষগুলো। দুর্গতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা করে পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দেন রাজ্যপাল৷
রাজ্যপাল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও, দুর্গতদের একজন বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের এক হাজার করে দিয়েছেন বটে, কিন্তু এখন আমাদের ২-৩ হাজার টাকা করে শুধু ওষুধই লাগছে। ঘর নাই, বাড়ি নাই, এখন আমরা কীভাবে থাকব?” আরেক বৃদ্ধা বলেন, “ঘর তো নাই, গরু, ছাগল, হাঁস কিছুই নাই। সব হারিয়েছি আমরা। এই টাকাতে আমাদের কতটা কী হবে!”
এরই মাঝে একশো দিনের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বন্যা দুর্গতরা৷ তাঁরা জানতে চান কাজ বন্ধ কেন? কেনই বা তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না৷ রাজ্যপাল তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন৷