ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ, স্পিকারকে কড়া চিঠি ‘অপমানিত’ রাজ্যপালের

ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ, স্পিকারকে কড়া চিঠি ‘অপমানিত’ রাজ্যপালের

কলকাতা: ২০২০ সালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বিধানসভায়। এবারও ঠিক একই কারণ উল্লেখ করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এবারও বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে আর সেই কারণেই রাজ্যপালের বাজেট ভাষণ সম্প্রচার করা হবে না। বিধানসভার সচিবালয় চিঠি দিয়ে রাজভবনকে জানিয়ে দিয়েছে এই কথা। এই ইস্যুতে প্রত্যাশিত মতই আবারও ‘গর্জে’ উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চিঠি দিলেন তিনি। 

চিঠিতে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জরুরি অবস্থার শামিল এবং স্পিকার নিজেই রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করেছেন। তিনি স্পিকারের উদ্দেশে আরও লিখেছেন, বার বার তাঁর কাজে রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করা হয়েছে। তিনি বিধানসভায় যাওয়ার পরেও গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি অধ্যক্ষ নিজেও উপস্থিত থাকেননি। তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি আরও জানান, বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে রাজ্যপালের ভাষণ দেখানো হবে না, এটি জরুরি অবস্থার শামিল। যদিও রাজ্যপালের দাবি, তাঁর ভাষণ সম্প্রচার না করা হলেও, মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। গতকাল জানা গিয়েছিল, বিধানসভা অধিবেশনে ভাষণের খসড়া আপত্তি রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। সেই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করেছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান, এবারও রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের টানাপোড়েন অব্যাহত বেশ কয়েক দিন ধরে। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কার্যত ‘হাতিয়ার’ করে রাজ্যপালের ভাষণ সম্প্রচার করা হবে না।

আরও পড়ুন- কোষাগারের টাকায় টিকা কিনেছে রাজ্য, সেকথা জানেন? নাম করে দিলীপকে তোপ মমতার

সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের ভাষণ রাজ্য সরকার লিখে দেয় এবং রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে। সেই ভাষণ রাজ্যপালকে পড়তে হয়। এখন অনুমোদিত খসড়া কিছুতেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। নিয়ম অনুযায়ী সেই ভাষণ পাঠ করতে হবে রাজ্যপালকে। এর আগে একাধিকবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এখন আবার ভোট পরবর্তী হিংসা এবং উত্তরবঙ্গ প্রসঙ্গ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিবাদ তুঙ্গে তাঁর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 19 =