কলকাতা: চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের কামড় পেয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। থানা, পুলিশ, আদালত কিছু হওয়া বাকি ছিল না। এবার ডিএ-র দাবিতে পথে নেমে সরকারি কর্মচারীরা পেলেন ঘুষি! এমনই ঘটনা ঘটেছে বুধবার। বকেয়া ডিএ-র দাবি তুলে এদিন বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযান রুখতেই আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। আর বাধা দিতে গিয়েই ঘুষি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস, অনুষ্ঠানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী, এলেন না শুভেন্দু
দীর্ঘ দিন ধরেই বকেয়া ডিএ নিয়ে সরব হয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। আদালতের নির্দেশ চলে এলেও এখনও সেই ডিএ তারা পাননি। রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। সেই ইস্যুতে এদিন রাজপথে নামেন তারা। কিন্তু আন্দোলনের নেমে পুলিশের সঙ্গে কার্যত সংঘাত হল তাদের। শুধু সরকারি কর্মচারীদের নয়, বয়স্ক পেনশনভোগীদের সঙ্গেও খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাদেরকে টেনে-হিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হয় বলে দাবি, একই সঙ্গে লাঠি দিয়েও মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এদিন বিধানসভার মূল ফটকের সামনেই এই ধ্বস্তাধস্তি হয়।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, যে সরকার নিজেদের কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারে না, নিজেদের কর্মচারীদের সঙ্গে এমন আচরণ করে তারা নির্লজ্জ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পুলিশের আচরণ অত্যন্ত খারাপ। তারা কলার ধরে সরকারি কর্মচারীদের গাড়িতে তুলছেন। শুধু মুখে ঘুষি নয়, পেটেও লাঠি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, ‘‘আজকে ডিএ এবং নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি আক্রমণের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। সরকার দাবি না মানলে এই আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে। সমস্ত বকেয়া ডিএ, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা এবং সমস্ত শূন্যপদের স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযান এবং ২৭ জানুয়ারি গণছুটি ও কলকাতায় লাগাতার অবস্থানে অংশ নেওয়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ডাক্তার, নার্স, সরকারি, আধা-কর্মচারী-সহ সমস্ত ডিএ প্রাপকদের আহ্বান জানাই।’’
শিক্ষক নেতা অনিমেষ হালদারের মন্তব্য, ‘ডিএ ও নিয়োগের দাবিতে আজ কলকাতায় রাজ্যের কর্মচারীদের মিছিলে পুলিশি নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আবেদন জানাই দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ও ধারাবাহিক অন্দোলনের।’
