কলকাতা: ১০ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার ডিএ ইস্যুতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মী সংগঠনের একাংশ। সেই ধর্মঘটের বিরোধিতা আগে থেকেই করেছে রাজ্যের শাসক দল এবং প্রশাসনও। এবার সেই প্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। স্পষ্টভাবে জানান হয়েছে, ১০ মার্চ কোনও ভাবেই কোনও ছুটি বরদাস্ত করা হবে না। দিনের প্রথমার্ধে হোক কিংবা দ্বিতীয়ার্ধে, এই দিনটিতে কোনও ছুটি নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন- কলকাতা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার খরচ কত জানেন?
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে আন্দোলন চলছে। বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা হলেও বাস্তবের বিক্ষোভে কোনও নড়চড় হয়নি। ইতিমধ্যেই দু’দিন কর্মবিরতি পালন করেছে সরকারি কর্মী সংগঠন। তারাই আগামী ১০ তারিখ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যৌথ সংগঠন রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘটকে সফল করার জন্য তারা জেলায় জেলায় প্রচারও হয়েছে। কিন্তু এই নিয়েই এবার স্পষ্ট নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দফতর থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই বিস্তারিতভাবে ১০ তারিখের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”‘বীর বিক্রম’ কেষ্টর উত্থান! Know about growth of Anubrata Mondal” width=”835″>
এই বিবৃতি বলছে, ১০ তারিখ কিছু সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কিন্তু এই দিন সরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ সহ সবকিছু খোলা রাখতে হবে এবং সকল কর্মীকে কাজে যোগদান করতে হবে। এই দিনে কাউকেই দিনের প্রথমার্ধে হোক কিংবা দ্বিতীয়ার্ধে, কোনও ছুটি দেওয়া হবে না, কেউ ছুটি নিতে পারবেন না। এমনকি উক্তদিনে কেউ ইচ্ছাকৃত কাজে অনুপস্থিত থাকলে তার ওইদিনে বেতন কেটে নেওয়া হবে। যদিও আবশ্যিক কিছু কারণ যেমন শারীরিক অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি, পরিবারে কেউ মারা গেলে, ৯ মার্চের আগে থেকে হওয়া শারীরিক অসুস্থতা, ৯ মার্চের আগে থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত মেডিক্যাল ছুটি, শিশু বা মাতৃত্বকালীন ছুটি বা অন্য কারণে ছুটি আগে থেকে নেওয়া থাকলে সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন- দিল্লিতেও অনুব্রতকে লক্ষ্য করে ‘গরুচোর’ স্লোগান, অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতা
পাশাপাশি এও জানান হয়েছে, উক্ত কারণ ছাড়া কেউ যদি ১০ তারিখ কাজে না আসে তাহলে তাঁকে শো-কজ করা হবে। সেখানে অনুপস্থিত থাকার স্পষ্ট কারণ দর্শাতে হবে। তেমন কোনও কারণ না থাকলে বা কারণ দেখাতে না পারলে বা শো-কজের উত্তর কেউ না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।