কলকাতা: শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে সরকারি কর্মীদের একাংশ। কিন্তু সেখানেই তৃণমূল ছাত্র যুব সমাবেশ আয়োজিত হবে এবং বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুমতি মিলেছে। তবে এই অনুমতি কী ভাবে মিলল সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের বিরোধিতা কাজে আসেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতির রাজাশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন- কীভাবে দেশের উচ্চশিক্ষায় জাতপাতের দাপট? উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপেই কীভাবে ব্রাত্য দলিত?
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবীর সঙ্গে কার্যত বাকযুদ্ধ হয়ে বিরোধী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। তৃণমূলের এই জনসভা থেকে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে আক্রমণ হবে বলে দাবি করা হয়। বিচারপতি নিজেও প্রশ্ন তোলেন যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে? সেই প্রেক্ষিতেই একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে এই জনসভায়। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, পুরো সভায় সিসিটিভি এবং ভিডিও নজরদারি করতে হবে। যাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পাজামা কেনার টাকা নেই কেষ্টর, নোংরা পাজামাতেই অনুব্রত! Anubrata’s difficult life in Tihar jail” width=”835″>
এছাড়া নির্দেশ এসেছে, ডেপুটি কমিশনার, জয়েন্ট কমিশনারকে গেটে ঢোকা থেকে বেরোনোর সমস্ত জায়গাতেই রাখতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখতে হবে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, নজরদারি শুধু নয়, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। আর জনসভা যেখানে হবে সেখানে বাঁশ দিয়ে পুরো জায়গা ঘিরে দিতে হবে। অন্যদিকে এক দিনের অনুষ্ঠান হলেও সেখানে আগে থেকেই যারা অবস্থান আন্দোলনে করছেন তাদের কোন ভাবেই উত্যক্ত করা যাবে না।
আরও পড়ুন- বাবা কার নামে কিনবে তা কুণাল ঘোষের বাবা ঠিক করবে না! আক্রমণে শতরূপ
এই মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, যেখানে লাগাতার যৌথ মঞ্চের আন্দোলন চলছে, সেখানেই ইচ্ছাকৃত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন। এটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। যদিও অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, এরকম কোনও উদ্দেশ্য নেই। অযথা অভিযোগ আনা হচ্ছে। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে ডি এ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন যৌথ মঞ্চের আন্দোলন কারীরা। পুলিশ যথেষ্ট তৎপর।