কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পরেই মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। তাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পর্যবেক্ষণ রেখেছে আদালত। পাশাপাশি রাজ্য সরকারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাইকোর্টের। মূলত মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত দিনসংখ্যা কম বলে মত প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়া হচ্ছে না তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। এতে রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী যা উত্তর দেন তাতেই পাল্টা প্রশ্ন করেছে আদালত।
আজকের মামলায় বিজেপির তরফ থেকে স্পষ্ট দাবি করা হয় যে, এত অল্প সময়ের মধ্যে ৭৫ হাজার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া অসম্ভব। সেই প্রেক্ষিতেই আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চায় যে অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়ায় কী অসুবিধা? কোর্টের বক্তব্য, অনলাইন হলে অনেকের সুবিধা হবে, স্ক্রুটিনি সহজ হবে। কিন্তু রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইলেকট্রনিক তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়। অনলাইনে মনোনয়ন নিতে হবে বলে নিয়মে কোথাও নেই। এতেই আদালতের পাল্টা বক্তব্য, নিয়ম আগে ছিল না বলে এখন হবে না এটা তো কোনও কাজের কথা নয়। প্রযুক্তিতে এত অ্যালার্জি কেন?
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Submit nominations | পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে গেল মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া।” width=”853″>
তবে আজ কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে হবে। একই সঙ্গে জেলা শাসক এবং জেলা বিচারকের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যেতে পারে কিনা তাও জানাতে হবে। আদালত বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ থেকে গণনা, গোটা প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে করা ভাল। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ারদের পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার করা নিয়ে আদালতের কোনও নির্দেশ থাকলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তা মেনে চলতে হবে।
