সিটের কাজে স্থগিতাদেশ নয়, আইআইটির ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে বড় নির্দেশ হাইকোর্ট

সিটের কাজে স্থগিতাদেশ নয়, আইআইটির ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে বড় নির্দেশ হাইকোর্ট

কলকাতা: আইআইটি খড়গপুরের ছাত্র মৃত্যুর তদন্তের রায়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর তদন্তে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি। জানানো হয়েছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য পুলিশের এডিজি (হেড কোয়ার্টার) কে জয়রামনের নেতৃত্বেই তদন্ত হবে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, খুব ব্যাতিক্রমী ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হয় তদন্তকারী দলের সদস্যদের।

আদালত জানিয়েছে, রাজ্য দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়!যতটা উদ্বিগ্ন তদন্তে নতুন সিট গঠন করায়। কোর্ট মনে করছে, খুব ব্যাতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া পরিবর্তন করতে হয় না তদন্তকারী দলের সদস্যদের। সেই প্রেক্ষিতে একক বেঞ্চ সিআইডির হোমিসাইড বিভাগের অফিসারকে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিয়োগের যে নির্দেশ দিয়েছিল তা খারিজ করে আইপিএস আধিকারিক জয়রামনকে কোনও দক্ষ অফিসারকে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের বক্তব্য, এডিজির ওপরে তদন্তকারী অফিসার নিয়োগের ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত। অবসর প্রাপ্ত অফিসারকে তদন্তে না রাখা বাঞ্ছনীয়। 

তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, মামলায় পুলিশ তদন্ত করছিল। ১৫ অক্টোবর দেহ পাওয়া যায় হোস্টেলের ঘরে। পরের দিন FIR। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সিঙ্গেল বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানিতে পুলিশের তদন্তে কোনো প্রশ্ন বা ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসককে দিয়ে দ্বিতীয় ময়না তদন্ত হয়। সেই রিপোর্টকে মান্যতা দেয় সিঙ্গেল বেঞ্চ। তবে প্রধান বিচারপতির কথা, সিঙ্গেল বেঞ্চ সন্দেহ প্রকাশ করেছে প্রথম ময়না তদন্ত রিপোর্ট দেখে। তাই নির্দিষ্ট ভাবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে। এখানে এত বড় পার্থক্য হয়েছে। নতুন তদন্ত অফিসার নিয়ে আপনাদের আপত্তি কেন? প্রশ্ন তাঁর।  

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − six =