কলকাতা: পঞ্চায়েত মামলায় এদিন নির্বাচন কমিশনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তাব আগেই দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হওয়ার দিকেই যাচ্ছে। বিরোধীরা দাবি করেছে, বেশিরভাগ কেউই মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না, তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। ভাঙড়, চোপড়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রসঙ্গত আদালতে তোলা হয়েছে। সব পক্ষের কথা শুনে আপাতত মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। তবে এদিনই মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে আইনজীবী জানান, মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর তা স্পষ্ট করা হোক। অন্যদিকে, সিপিআইএমের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ ভট্রাচার্য বলেন, মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না বিরোধীদের। ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করতে পারেনি কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানতে ব্যর্থ প্রাথমিক ভাবে সেটাই দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, আদালত প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তিত নয়, সাধারণ ভোটারদের নিয়ে চিন্তিত। এই প্রেক্ষিতেই অনুমান, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Nadia Krishnanag in Bhaluka Panchayat | তৃণমূল ছেড়ে এবার সিপিএমে যোগ দিল হাজার পরিবার। CPIM | TMC” width=”789″>
যদিও রাজ্যের তরফের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, মুখ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট বলছে ১ লক্ষ ৬২ হাজারের বেশি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। তাহলে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারার অভিযোগ কী ভাবে করা হচ্ছে? তাছাড়া রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী রয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কোথায়? তাঁর আরও বক্তব্য, এর আগে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৮-৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বাহিনী যে মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারবে তার কী গ্যারেন্টি?