কলকাতা: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এখন জেলবন্দি। ভাঙড় এবং ধর্মতলায় হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে তাঁর ঘনিষ্ঠ একজনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। কেন এই পদক্ষেপ সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্ন তোলা হল। অন্যদিকে কেন এই তল্লাশি তার ব্যাখ্যা আদালতে দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
আরও পড়ুন- লিভইন পার্টনারকে খুন করে রেখেছিলেন ধাবার ফ্রিজে, কয়েক ঘণ্টা পরই বিয়ে করেন সাহিল!
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেছেন, নওশাদ সিদ্দিকীর এক বন্ধু শেখ শামসুর আলমের চেন্নাইয়ের বাড়িতে কলকাতা পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। সে একজন ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে নওশাদের যোগাযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়, তাও রাজনৈতিক বিক্ষোভ। তাতে নওশাদ গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু কলকাতা পুলিশ চেন্নাই গিয়ে রেইড করছে। এই প্রেক্ষিতে এজি জানান, এফআইআর-এ নাম থাকা ২ ব্যক্তির জবানবন্দিতে আবেদনকারীর নাম উঠে এসেছে। তাই তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে সামনাসামনি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। কারণ কোনও নথির প্রয়োজন হলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্ভব নয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বিদায় নিচ্ছে শীত! কবে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ? Winter gradually receding from Bengal” width=”560″>
বিচারপতি এই ইস্যুতে বলেন, ভিডিও কনফারেন্সে হাজিরা দিতে তো কোনও সমস্যা নেই। তাতে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, আপত্তি নেই। তবে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আবেদনকারীকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিতে হবে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। আর কোনও নথির প্রয়োজন হলে পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে। একই সঙ্গে এও জানান হয়েছে, পুলিশকে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে এবং তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইলে আদালতে আবেদন জানাতে পারবে পুলিশ। ২ সপ্তাহ পর এই মামলার ফের শুনানি।