কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে পুনরায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যে কড়া মন্তব্য করেছে। এবার ১ হাজার ৬৯৪ জনের বেআইনি নিয়োগের ওএমআর শিটের তালিকা নিয়ে কড়া নির্দেশ এল। আদালত জানিয়েছে, সিবিআইও একটি কপি হলফনামা আকারে আদালতে জমা দেবে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া ১ হাজার ৬৯৪ জনের ওএমআর শিটের কপি জেলা ডিআইদের পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপর তারাই বেআইনি নিয়োগ পাওয়াদের আদালতের নির্দেশ জানাবেন।
আরও পড়ুন- শেষের পথে ২০২২, এখনও উধাও কনকনে ভাব, জাঁকিয়ে শীত কবে? জানাল হাওয়া অফিস
বিষয় হল, ১ হাজার ৬৯৪ জনের চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে আদালতের চূড়ান্ত নির্দেশের ওপর। এই কথাটি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের জানাতে হবে। এমন ব্যক্তিদের তালিকা ধরে চিহ্নিত করে ডিআই’রাই জানিয়ে দেবেন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে ডিআই’দের। এদিকে, ডিআই’দের পক্ষের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক আদালতে জানান, এখনই যদি ১ হাজার ৬৯৪ জনের চাকরি চলে যায় তাহলে স্কুলের দরজা খোলা থেকে স্কুল পরিস্কার করার লোক থাকবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জানুয়ারি।
ওএমআর শিট বিষয়ে এদিনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “আদালতের নির্দেশের পরেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাজ দেখে আমি আশ্চর্য হলাম। ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেখানে কেন প্রার্থীর রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে? কেন এই ঘোমটা?” একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, এই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। সেখানে এখনও কেন আড়াল করছে কমিশন?