কলকাতা: ২০১৮ সাল থেকেই দিল্লির তিহার জেলে বন্দি লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি শেখ আব্দুল নঈম। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নাশকতা এবং স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করার মতো মারাত্মক অভিযোগ আছে। দিল্লিতে নঈমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগও উঠেছে। ২০১৮ সালে বনগাঁ আদালত নঈমের বিরুদ্ধে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সোমবার নিম্ন আদালতের সেই রায় খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের সময়সীমা কি বাড়ছে? যা জানা গেল
মৃত্যুদণ্ড নয়, দশ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জঙ্গি নঈমের বিরুদ্ধে। এদিন এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। তিহার জেল থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল নঈম। দীর্ঘ সময় ধরে কলকাতা হাইকোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল এবং তা শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। এদিন চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে পাকিস্তান হয়ে বেনাপোল দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য। যাদের মধ্যে ছিল নঈমও।
এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফ এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই মামলা চলে বনগাঁ আদালতে। ২০১৮ সালে বনগাঁ আদালত শেখ আব্দুল নঈমকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে। আদালতে ফাঁসির সাজা ঘোষণার পরেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এএনআই নঈম সহ বাকি অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। কারণ ভারতবর্ষে বেশ কয়েকটি রাজ্যে যেমন দিল্লি, মহারাষ্ট্রে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ ছিল। এতদিন পর্যন্ত তিহার জেলে বন্দি ছিল লস্কর-ই-তৈবা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।