কলকাতা: কামারহাটির এক কাউন্সিলরের সামনে সৌমেন দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মনে করা হচ্ছে, তদন্ত গাফিলতি হয়েছে এবং এই নিয়েই চূড়ান্ত বিরক্ত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালত জেনেছে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মৃতের মা, কিন্তু পুলিশ এতদিনেও তার গোপন জবানবন্দী নেয়নি। তাই এই ইস্যুতে এখন কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
আরও পড়ুন- ফের এক ধাক্কায় নামল রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, তথ্য বিস্তারিত
লকডাউনের সময়ে কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুঃস্থদের খাবার বিলি চলছিল। সেই সময়ে কাউন্সিলরের সামনে সৌমেন দাস নামে ওই যুবককে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। ২০২০ সালে মে মাসে এই ঘটনা ঘটে এবং ওই যুবক প্রায় ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখন অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তার বয়ান নেয়নি। পুলিশ কেন তার বক্তব্য রেকর্ড করেনি, তারও কোনও ব্যাখ্যা পাচ্ছে না আদালত। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে থাকাকালীন যুবকের জামাইবাবু মোবাইলে একটি বক্তব্য রেকর্ড করেন ওই যুবকের। তারপরেই সে মারা যায়।
এখন পুলিশকে সেই ভিডিও কেসের সঙ্গে যুক্ত না করার কারণ খুঁজে পাচ্ছে না কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভিডিওর সত্যতা জানার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফরেনসিক ল্যাব ওই ভিডিওর উত্তরটা সম্পর্কে রিপোর্ট দেবে। আর এই সময়ের মধ্যে পুলিশ মৃতের মা ও জামাইবাবুর গোপন জবানবন্দি নেবে।