কলকাতা: পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি। আদালত এবং আদালতের বাইরে কমিশনের দুই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানতে ব্যর্থ প্রাথমিক ভাবে সেটাই দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, আদালত প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তিত নয়, সাধারণ ভোটারদের নিয়ে চিন্তিত।
এদিন আদালতে এই মামলার শুনানিতে এজলাসে তিল ধারনের জায়গা নেই। উপস্থিত আছেন বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিআইএম প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সমর্থিত আইনজীবীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে আইনজীবী জানান, মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর তা স্পষ্ট করা হোক। অন্যদিকে, সিপিআইএমের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ ভট্রাচার্য বলেন, মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না বিরোধীদের। ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করতে পারেনি কমিশন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Nadia Krishnanag in Bhaluka Panchayat | তৃণমূল ছেড়ে এবার সিপিএমে যোগ দিল হাজার পরিবার। CPIM | TMC” width=”853″>
আজকের মামলার শুনানিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ঘটনার প্রসঙ্গও ওঠে। দাবি করা হয়, এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিধানসভা নির্বাচনের হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিল গোটা রাজ্যের সব জেলাতেই রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও তেমন পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, এদিন সকালে চোপড়ায় বিডিও অফিসে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। কিন্তু আচমকাই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। গুলি চললে সঙ্গে সঙ্গে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল এবং গুলিবিদ্ধ হন ওই তিন ব্যক্তি। তাদের মধ্যেই একজন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।