কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বোর্ডের আইনজীবীকে ধমক ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের। তাঁর বক্তব্য, দুর্নীতি হয়ছে বার বার প্রমাণিত। তথ্য জমা দিতে হলে এখনই দিন। পরে আর গ্রহণ করবে না আদালত। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্য।
আরও পড়ুন- শহরের বাজারে ঢুকছে পদ্মা-রায়দিঘির ইলিশ! দাম কত জানেন?
আদালতকে বোর্ডের আইনজীবী বলছেন, বলা হচ্ছে প্যানেল নিয়ম মেনে প্রকাশ হয়নি, এটা ভুল। আবার বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে ডেকে চাকরি দেওয়ার যে অভিযোগ, সেটাও ভুল। তাঁর দাবি, প্রক্রিয়াকরণ চলছে, তাই তারা চাকরি পেয়েছেন। ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে যারা নির্দিষ্ট সময় আবেদন করেছিল তাদের নম্বর দিয়েছে বোর্ড। এদিকে, যাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত, বোর্ড সেই নির্দেশ মেনে চলছে বলেই জানান তিনি। পাশাপাশি আরও জানিয়েছেন, যাদের সিবিআই দফতরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে তারা নির্দিষ্ট সময় হয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়ে এসেছে। কিন্তু এটা তদন্ত রাজ্য পুলিশও করতে পারত, এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলেই দাবি তাঁর।
এদিকে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বোর্ডের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ২৬৯ জনকে ১ নম্বর করে দেওয়া হল, বাকিরা বাদ গেল। এটাতো পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষা। কেনো এটার তদন্ত হবে না? বিচারপতির কথায়, ”আপনি যা বলবেন আমায় মেনে নিতে হবে। ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি হয়ছে এটা প্রমাণিত।” জবাবে বোর্ডের আইনজীবী বলেন, এটা পুরনো নিয়ম। তার বদল হয়নি। বোর্ড নিয়ম পালন করছে শুধু। অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, নিয়োগ গুলি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সিদ্ধান্ত ছিল। যার চাকরি পেলেন তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। মানিক ভট্টাচার্য সই করলেন, আরো একজন অজ্ঞাতের সই আছে বিজ্ঞপ্তিতে। এই পরীক্ষাতেই ছয়টি প্রশ্ন ভুল ছিল। আদালত আগেই যারা ওই প্রশ্নর উত্তর দিয়েছিল তাদের ওই ছয় নম্বর দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও বিশেষ কিছু জনকে দেওয়া হয়। অন্যদের দেওয়া হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
