কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় হলফনামা জমা দিয়েছিল। কিন্তু সন্তুষ্ট ছিল না আদালত। সোমবার কলকাতা পুরসভা আবার হলফনামা দিল। পুরসভার আইনজীবী আলোক দাস জানিয়েছেন, হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের ভিতরে যদি কোনও দখলদার থাকে তাহলে তা সরানোর দায়িত্ব বিল্ডিং মালিকের।
আরও পড়ুন- জেলে বন্দি মন্ত্রীকে তেল মালিশ! কী ভাবে ফাঁস ছবি, ED-র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস
পুরসভার তরফে এমনটা বলা হলে তার উত্তর সঙ্গে সঙ্গে দেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাঁর সাফ দাবি, দখলদার দেখা যাচ্ছে, কিন্তু পুরসভা তবু চোখ বন্ধ করে আছে। তবে পুরসভার বক্তব্য, হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের বাইরে কোনও দখলদার নেই। এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, যদি দখলদার হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের বাইরে হয় তাহলে অবিলম্বে তা সরিয়ে পুরসভাকে রিপোর্ট দিতে হবে। এই রিপোর্ট আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে এই মামলার। প্রসঙ্গত, এর আগের শুনানিতে কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখে একেবারেই খুশি হয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। তখনই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা, হেরিটেজ কমিটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সাপ ধরে কামাল করছেন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী! Malda’s Nisha catches snakes efficiently” width=”835″>
এই ইস্যুতে মূল অভিযোগ ছিল, হেরিটেজ ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে নতুন নির্মাণ হয়েছে। যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সেই ঘরে তৃণমূলের শিক্ষা বন্ধু সমিতির অফিস হয়েছে। এছাড়াও বাকি দুটো ঘর ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এমনও দাবি করা হয়েছে যে, ঘরে কবিগুরুর পরিবর্তে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি ঝোলানো হয়েছে।
