কলকাতা: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলায় অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত কার্যত খারিজ৷ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ ফলে ফের মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে সংশয় তৈরি হল৷
আরও পড়ুন- ধর্ষণ না অন্তঃসত্ত্বা? হাঁসখালি-কাণ্ডে প্রশ্ন তুললেন মমতা
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুকুল রায় দল পরিবর্তন করেননি। তিনি বিজেপিতেই আছেন। অধ্যক্ষের দাবি ছিল, অভিযোগকারীরা মুকুলের দলবদলের সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি। কিন্তু, এদিন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০২১ এর ১১ জুন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়৷ সেটাকেই প্রমাণ হিসাবে ধরে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার৷
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। কয়েক বছর পর বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দলবদল করেন ছেলে শুভ্রাংশুও৷ ২০২০ সালে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব নেন মুকুল। একুশের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি’র টিকিটে বড় ব্যবধানে জয়লাভও করেন তিনি। তবে, ফল প্রকাশের পরেই সপুত্র দল বদল করেন৷ ২০২১ সালের ১১ জুন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রত্যাবর্তন করেন।
মুকুল তৃণমূলে ফিরতেই তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবি তুলে অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তবে, মুকুলের আইনজীবীরা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, তিনি বিজেপির বিধায়কই আছেন। তিনি দল বদলই করেননি৷ অথচ, শাসকদলের বদান্যতায় পিএসি’র চেয়ারম্যান পদও পান মুকুল৷ তাঁর পিএসি পদ খারিজ করার দাবিতেও সোচ্চার হয়েছে বিজেপি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>