কলকাতা: আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্পে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাদের কাদের টাকা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদের আন্দোলনকারী কৃষকদের ইস্যুতে এই রিপোর্ট চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে এই ব্যাপারে।
আরও পড়ুন- বিশ্বের সেরা ১০ ধনকুবেরের তালিকা থেকে ছিটকেই গেলেন আদানি! কত নম্বরে স্থান হল তাঁর?
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী ঝুমা সেন বলেন, প্রত্যেক বছর যে ফল হয় তার ওপর জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ঐ এলাকাবাসীকে। সেখানে গাছ কেটে, কোথাও গাছের ওপর দিয়ে হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ক্ষতিপূরণও দেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। এই ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কত গাছ কাটা হয়েছে তার হিসাব সম্পর্কে। মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে, ভারতের নাগরিকরা নয়। আর এই জায়গা বন দফতরের নয় যে বন সংরক্ষণ আইনের আওতায় পড়বে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বড় বিপদে LIC! কারচুপি করে ধনী হয়েছেন গৌতম আদানি? Hindenburg Research claims fraud, LIC in trouble” width=”835″>
আদানিদের তরফে আদালতে জানান হয়েছে, ২০০৩ সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাম অ্যাক্টের ১৬৪ ধারা অনুয়ায়ী এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। বেশিরভাগ মামলাকারী আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নিয়েছে ডিমাণ্ড ড্রাফটের মাধ্যমে। এছাড়া তারা প্রশাসনকে আগে জানিয়েছিল যে তারা কোনও রকম প্রতিরোধ করবে না। কিন্তু এখন আন্দোলনে সামিল হয়েছে। কেন্দ্র সরকার আবার এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, কারা আপত্তি করেছে তাদের নাম, জমির প্লট নম্বর, এগুলো মামলায় যুক্ত করা হয়নি। তবে টাকা কাদের দেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় হাইকোর্ট। তাই আদানিদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ।