কলকাতা: যে জমি আপনি পছন্দ করছেন সেই জমি সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে বিভিন্ন আইনি জটিলতা। তাই দুম করে পছন্দ মত জমি কিনে নিলে পরে হয়ত আপনাকে ছুটতে হতে পারে কোর্ট কাছারিতে। বা জমি কেনার পর যে দলিল হাতে পেয়েছেন সেই দলিল নকল হলেও হতে পারে। জায়গা কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। তাহলে কি করবেন? সেই নিয়মের কথাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
জমি কেনার আগে সম্পত্তিতে বিক্রেতার সঠিক মালিকানা আছে কিনা ও উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়ের বৈধ অধিকার আছে কিনা, তা যাচাই করুন। প্রথমেই পরখ করে দেখে নিতে হবে জমির “চেইনডিড” এর প্রথম থেকে শেষ রেকর্ড। যদি পৈতৃক জমি হয় তাহলে জমির পর্চা দেখে বিচার করে নিতে হবে কতবার হস্তান্তরিত হয়েছে জায়গাটি। এছাড়াও দেখে নিতে হবে আর এস এ,সিএসএ এবং এলআরএ কার নামে রয়েছে। একসময় মুখে মুখে জমি বিক্রি হতো, ক্রেতার কাছ থেকে জমির মূল্য নিয়ে জমি বিক্রেতা বলে দিতেন এই জমি এখন থেকে আপনার। অনেক সময় স্বাক্ষী থাকতো, আবার স্বাক্ষী না থাকলেও তেমন অসুবিধা হতোনা, পরিবারের লোকজনও তা মেনে নিতেন। তবে সেসব দিন এখন অতীত৷
এবার আসা যাক দলিলে। বাজারে নকল দলিলের গল্প আমরা প্রায়শই শুনেছি। সেই কারণেই আপনার পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে কেনা শখের জায়গার দলিল যাতে নকল না হয় তার জন্য কি করতে হবে জেনে নিন। নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল আসল কি নকল তা সার্চ করতে হবে। ন্যূনতম ১২ বছরের রেকর্ড সার্চিং হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও দলিল পরখ করে দেখলেই জানা যাবে আরও আনুষাঙ্গিক বিষয়বস্তুগুলি যেমন, জমিটি কতবার হস্তান্তরিত হয়েছে এবং কার কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, দলিল আসল হলেও আইনিভাবে কোনও জটিলতা আছে কি’না সেটা বুঝতে এবার নির্দিষ্ট আদালতে গিয়ে চেকিং করতে হবে। বিক্রেতার জমিটি বায়না অথবা কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট বন্ধক দেওয়া আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে।
এরপর বিএলআরও অফিসে গিয়ে আবারও পরীক্ষা করুন জমির “ইন ডিটেইল” রেকর্ড। বিক্রেতার জমিতে সরকারী স্বার্থ আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে জমি কেনার আগে। সরকার প্রয়োজনে নানান সময় নানান জায়গায় জমি এ্যাকোয়ার করে থাকে৷ এগুলো দেখে নিলে আপনাকে ঠকানো সহজ হবে না৷