হাবড়া: বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া। জানা গেছে হাবড়া স্টেশন চত্বর এলাকায় বুধবার বিজেপির একটি সভা ছিল। কিন্তু সেই সময় প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জন ব্যক্তি বিজেপিরই পতাকা নিয়ে এসে সভাস্থল ভাঙচুর করে। তারা দলের জেলা সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি দলের সভাপতি হিসেবে কোনও দায়িত্বই পালন করেন না শঙ্করবাবু।
এছাড়াও তারা তার বিরুজদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। শঙ্করবাবুর অপসারণের দাবিতে সরব হয়ে ওঠে এলাকা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে এদিন বেশ কিছু পোস্টারও দেখা যায়। অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে সভাস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সভার জন্য জড়ো রাখা চেয়ার ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় মাইক, বক্স। পুরো স্টেশন চত্বর এলাকা লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এমনকি মহিলাদেরকেও তাড়া করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে সভায় থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে এলেও ওই দুষ্কৃতীদের তারা চেনেন না। দুষ্কৃতীরা জেলা সভাপতির নামে বারবার স্লোগান দিতে থাকে। এদিকে বিজেপি কর্মীদের কথাতেই উঠে এসেছে দলের ভিতরে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। এক মহিলা কর্মীর দাবি তাঁকে তাঁকে বারবার অপমান করা হয়েছে। কিন্তু তিনি তা সত্ত্বেও দল ছাড়েননি, বরং বিষয়টি দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন।
বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে এর আগেও দলের ভিতর অসন্তোষ ছড়ায়। এমনকি মিছিল করে তার অপসারণের দাবিও তোলা হয়। অভিযোগ তিনি টাকা নিয়ে দলের পদ বিক্রি করেন। এছাড়াও মদ বিক্রি এবং বিভিন্ন নারীঘটিত অপরাধের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
যদিও এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। তখন তিনি বলেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করতে হবে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে জেলায় দলের প্রভাব বাড়ছে বলে দাবি বিজেপির, তার মধ্যে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে মোটেও ভালো ইঙ্গিত নয় তা মনে করছে রাজনৈতিক মহল।