কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত তিনি। এখন আপাতত আছেন জেলেই। এদিন আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়েছিল ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা। তারাই তাঁর জন্য জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে লুচি এবং প্রসাদ, ফল নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তা খাওয়া হল না তৃণমূল বিধায়কের। পুলিশ বলল নিয়ম নেই।
এদিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার পরেই জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির সদস্যরা তাঁকে লুচি, প্রসাদ এবং গোটা ফল খাওয়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই খাবার জীবনকৃষ্ণকে দেওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। জানান হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী এ ভাবে কোনও বন্দিকে বাইরের খাবার দেওয়ার অনুমতি নেই। তাই তিনি এইসব খাবার খেতে পারবেন না। অর্থাৎ জামাইষষ্ঠীর দিন জীবনকৃষ্ণের জন্য বাড়ি থেকে আসা খাবার ফিরিয়ে নিয়েই যেতে হল বাড়ির সদস্যদের। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে অসহযোগিতা ও তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টার অভিযোগে বড়ঞার বিধায়ককে গ্রেফতার করে সিবিআই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অভিষেককে জেরার পর এবার জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করবে সিবিআই? অভিষেককে ফের তলব করতে পারে সিবিআই?” width=”853″>
এই গ্রেফতারি নিয়ে কী ঢামাডোল সৃষ্টি হয়েছিল তা সকলেরই জানা। বাড়িতে সিবিআই আসতেই নিজের দুই ফোন বাড়ির পিছনের পুকুরে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই ফোন উদ্ধারে কালঘাম ছোটে সিবিআই আধিকারিকদের। পরে অবশ্য সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেই জানা যায়। আসলে বিধায়কের বাড়ি থেকে তাঁর সুপারিশে হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের নথির পাশাপাশি এসএলএসটির গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার ‘ডেটাবেস’ পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দু’বস্তা নথি।
